পাহাড়ের ঠান্ডা হাওয়া, রহস্যে মোড়া পরিবেশ আর টানা শুটিংয়ের চাপ, সব মিলিয়ে ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ ছবির শুটিং যে সহজ ছিল না, তা এবার প্রকাশ্যে। কাজের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। রক্তচাপের ওঠানামায় শরীর দুর্বল হলেও কাজ থামাননি অভিনেত্রী। বরং দায়িত্ববোধ থেকেই শুটিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
চিকিৎসকের পরামর্শে মিমির বুকে বসানো হয় হল্টার মনিটর। টানা আটচল্লিশ ঘণ্টা সেই যন্ত্র শরীরের সঙ্গে নিয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। পাহাড়ি এলাকায় শুটিং হওয়ায় বিশ্রামের সুযোগ ছিল সীমিত। তবু সহ অভিনেতা ও টিমের কথা ভেবে নিজের অসুবিধাকে আড়াল করেন মিমি। সেটে তাঁর মুখে ক্লান্তির চিহ্ন থাকলেও মনোবল ভাঙেনি এক মুহূর্তের জন্যও।
প্রযোজনা সংস্থার তরফে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শারীরিক অস্বস্তির মাঝেও মজা করতে ভুলছেন না অভিনেত্রী। হাসিমুখে তিনি বলেন আমাদের তো ছুটি নেই। এই কথার মধ্যেই ধরা পড়ে তাঁর পেশাদার মনোভাব। নন্দিতা ও শিবপ্রসাদ প্রযোজিত ছবির সেটে তাই অসুস্থতা সত্ত্বেও কাজের গতি থামেনি।
ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে ছবির টিজার। সেখানে সোহম মজুমদারের সঙ্গে মিমির দুষ্টু মিষ্টি রসায়ন দর্শকের নজর কাড়ছে। ভয় আর হাসির মিশেলে গল্প এগোচ্ছে অন্য মাত্রায়। পাহাড়ি হোটেলে একের পর এক অদ্ভুত ঘটনা, হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া খাবার, রক্তভরা বাথটব, নিজে নিজে চলা খেলনা সবই গল্পে রহস্য বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তরুণ অভিনেত্রীর গুজব নস্যাৎ, গোবিন্দার সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফো’রক দাবি সুনীতার! বিতর্কের মধ্যেও পরিবার বাঁচানোর বার্তা, স্বামীকে নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান স্ত্রীর! কী জানালেন তিনি?
নতুন বছরের তেইশে জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’। আগে বড়দিনে মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও তা পিছোয়। তবে দর্শকের অপেক্ষা বৃথা যাবে না বলেই ইঙ্গিত মিলছে। ডুয়ার্সের পাহাড়ি হোটেলে ভূতুড়ে কাণ্ড আর দমফাটা হাসির এই সফরে মিমির লড়াই নিঃসন্দেহে ছবির নেপথ্যের সবচেয়ে সাহসী গল্প হয়ে থাকল।






‘একই লোকের সঙ্গে দশ বছর সংসার, সুস্থ মানুষ পারে নাকি!’ ‘এতদিন একই স্বামী অসম্ভব, পাগলামির লক্ষণ!’ বিবাহিত জীবন নিয়ে ইমন চক্রবর্তীর বিতর্কিত মন্তব্য, খুঁজছেন নতুন বয়ফ্রেন্ড! ফের কি বিপাকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা?