অভিনয় জগতে শ্লী’লতাহানি প্রসঙ্গে বি’স্ফোরক ‌অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জী

টলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chatterjee) যিনি খলনায়কের চরিত্রে দর্শকদের মন জয় করেছেন, সম্প্রতি তার অভিনয় জীবন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। বিপ্লব, যিনি পর্দায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন, কখনও কারো প্রতি অসৌজন্য বা অবিচারের অভিযোগের সম্মুখীন হননি। বরং, তিনি বরাবর তার সহ-অভিনেত্রীদের নিরাপত্তা এবং আরাম সম্পর্কে সচেতন ছিলেন, তাদের কোনও অস্বস্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে সব সময় খেয়াল রাখতেন। এই সচেতনতা তার পেশাদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল, যা তাকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সম্মান এনে দিয়েছে।

শরীর স্পর্শ না করেও অভিনয় করেছি: বিপ্লব চ্যাটার্জি

বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, একটি মুম্বইয়ের ছবিতে তার সহ-অভিনেত্রী তাকে বলেছেন যে, তিনি পুরো অভিনয়টি করেছেন, তবে তার শরীর স্পর্শ না করেই। অভিনেত্রী সেই সময় তাকে একধরণের সৎ এবং পেশাদার হিসেবে স্বীকার করেছিলেন। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, যেখানে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা প্রায়শই গল্পের অংশ হয়ে দাঁড়ায়, বিপ্লবের পেশাদারিত্ব এবং সততা দর্শকদের কাছে একটি বড় উদাহরণ হয়ে উঠেছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে বিপ্লব বুঝতে পেরেছিলেন যে, একজন সহকর্মী হিসেবে, সততা এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে কাজ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তবে, বর্তমান সময়ে তার এই অভিজ্ঞতা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। যেখানে চলচ্চিত্রের দৃশ্যগুলোতে প্রায়শই শারীরিক সংস্পর্শ এবং ঘনিষ্ঠতা দেখানো হয়, সেখানে বিপ্লবের এই বক্তব্য অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখছেন। তিনি বলেছেন, “এখন এসব কথা বললে কেউ বিশ্বাস করে না, তবে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, আমার সহকর্মীকে কোনওভাবে অস্বস্তিতে ফেলব না।” বিপ্লবের এই মন্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি কখনই নিজের পেশাদারিত্বের সীমা লঙ্ঘন করেননি এবং অভিনয়কে সব সময় একটি বিশ্বাস এবং দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

একজন অভিজ্ঞ অভিনেতা হিসেবে বিপ্লব জানতেন যে, সহকর্মীর প্রতি সন্মান এবং নিরাপত্তা রক্ষা করা কতটা জরুরি। তার মতে, অভিনয়ের মধ্যে কোনো অপরাধ বা অন্যায় নয়, বরং শ্রদ্ধা এবং পেশাদারিত্বের মধ্যে কাজ করা উচিত। তিনি আরও জানান, “আমি সহকর্মী হিসেবে কাউকে অস্বস্তিতে ফেলব না, কারণ আমি জানি, আমাদের কাজের মধ্যেই যদি বিশ্বাস থাকে, তবে আমরা একসাথে ভালো কাজ করতে পারব।” তার এই বিশ্বাস এবং পেশাদারিত্ব তাকে টলিউডে এক বিশেষ স্থান এনে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: বিয়ের আনন্দের মাঝেই দুঃ’সংবাদ! প্রস্তুতি থামিয়ে শ্বেতার পরিবারে শো’ক, মন খারাপ হবু কনে শ্বেতার

এদিকে, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শঙ্কা ও আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন, তাতে অনেকেই তার পেশাদারিত্বের প্রশংসা করছেন। তবে, এই পুরো বিষয়টি এখন একটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, এবং সত্যি কি ঘটেছিল, তা জানতে আরও তদন্তের প্রয়োজন। বাস্তবে, বিপ্লবের মন্তব্যের পেছনে একটি গভীর সত্য উঠে এসেছে, যা অনেকেই আশা করছেন, আরও পরিষ্কার হবে।

You cannot copy content of this page