“স্বামীর টাকায় খাইনি, নিজের টাকায় খেয়েছি!”— কটাক্ষের সুরে ফের প্রাক্তনের দিকে আঙুল তুললেন সুস্মিতা! ‘অতিরিক্ত অর্থের অহংকারেই সম্পর্কটা ভেঙে গেল, এবার বাস্তবটা স্পষ্ট হচ্ছে।’ ‘ভালোবাসার বিয়েতে টাকার হিসাব টেনে আনার মানে কী?’— নেটিজেনদের কটাক্ষে বিদ্ধ অভিনেত্রী!

জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সর সুস্মিতা রায়ের (Susmita Roy) ব্যক্তিগত জীবন সাম্প্রতিক সময়ে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে। কিছুদিন আগেই স্বামী সব্যসাচী চক্রবর্তীর (Sabyasachi Chakraborty) সঙ্গে বিচ্ছেদের (Divorce) ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই ঘোষণার দিনটি আবার মিলে গিয়েছিল তাঁর জন্মদিনের সঙ্গে, যা আরও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল ভক্তদের মধ্যে। বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন, আবার কেউ কেউ বিস্মিতও হয়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত অস্থিরতা তাঁকে দমিয়ে রাখেনি, বরং সুস্মিতা নিজের কাজের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন।

নতুন পথের সন্ধান করছেন তিনি, যেখানে ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক নয়, বরং কর্মজীবন ও স্বপ্নই অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তবে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানানোর পরও সমালোচনার ঝড় থামেনি। বিশেষ করে সিঁথিতে সিঁদুর পরা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রবল আলোচনা শুরু হয়েছিল। কেউ প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পরও কেন তিনি প্রথা মেনে সিঁদুর পরছেন। এ প্রসঙ্গে সুস্মিতা যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন, আইনি বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর কাছে সিঁদুর পরা অস্বাভাবিক নয়। তবু সমালোচনা থামেনি।

রাখি পূর্ণিমার দিনও সিঁদুর পরে পূজার ভিডিও ভাগ করে নেন তিনি, যা আরও বিতর্ক ডেকে আনে। কিন্তু ব্যক্তিগত সমালোচনায় না গিয়ে তিনি মন দিয়েছেন নিজের কর্মজীবনে এবং নতুন উদ্যোগে। সুস্মিতা আগেই ‘মেডোকার্ট’ নামে একটি সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন, যেখানে খাঁটি দুগ্ধজাত পণ্য সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল। এবার তিনি আরও বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। নতুন সংস্থা ‘ক্লিয়ারকাট’-এর সূচনা করেছেন, যা শুধু মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিস মেটাবে না, বরং মহিলাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে।

সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানের পর দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা ফের খোলাখুলি কথা বলেন বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে। তিনি জানান, জীবনে একসময় তাঁকে রাস্তায় রাত কাটাতে হয়েছে। কারোর সাহায্য ছাড়া নিজের দমে তিনি আজকের অবস্থানে এসেছেন। এমনকি বিয়ের পরও তিনি স্বামীর কাছ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য নেননি, উল্টে নিজের উপার্জনে সংসার চালিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “আমি ১৮ বছর বয়স থেকেই মা-বাবার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নেই না। আমি বিয়ের পরেও স্বামীর টাকায় কিছু করিনি, নিজের উপার্জন থেকেই খরচ চালিয়েছি, স্বামীর টাকায় খাইনি।

আরও পড়ুনঃ মিথ্যে রিইউনিয়নের প্রমোশনেই বাজিমাত, অভিনয় নয়, মার্কেটিং-ই ভরসা! দুর্বল চিত্রনাট্যের আড়ালে ভক্তদের আবেগ নিয়ে খেলল ‘ধূমকেতু’! দেব-শুভশ্রীর পুনর্মিলন নিয়ে দর্শকের অভিযোগ, ফাঁদে ফেলে ঠকানো হল! “জিৎ ভরসা রাখেন গল্পে, প্রচারে নয়! তাই ‘অসুর’ হেরে গেল বক্স অফিসে!”– বলছেন ক্ষুব্ধ দর্শকরা!

সাবলম্বী হলে একজন মেয়েও তার স্বামীর দায়িত্ব নিতে পারেন।” তাঁর এই বক্তব্যকে অনেকে প্রশংসা করলেও, কেউ কেউ আবার কটাক্ষ করেছেন। সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ্যে আসার পর সমাজ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “প্রথমত ভালোবেসে বিয়ে করেছিলে, তারপর শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন শাশুড়ি মা নিজে খাবার বেড়ে খেতে দিয়েছেন, সেটাও দেখিয়েছো ভ্লগে।” আবার অন্যজনের মন্তব্য, “কর্মক্ষেত্রে সফলতায় জীবনের আসল মানে নয়, সংসারটাই তো টেকাতে পারলে না!” কেউ কেউ আরও সরাসরি বলেছেন, “অতিরিক্ত অর্থের অহংকার ও দম্ভের জন্যই সম্পর্কটা ভেঙে গেল, এবার বাস্তবটা স্পষ্ট হচ্ছে।”