“দীপকদা খুবই সুদর্শন, দারুণ লাগত সময় কাটাতে…আমাদের বোঝাপড়াটা ছিল প্রেমের মতো!”— অকপট শতাব্দী রায়! স্বামীর চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে সহ-অভিনেত্রী রসায়ন থেকে ঘনিষ্ঠতা টের পেয়ে, কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন স্ত্রী রত্নাবলী? জানলে চমকে যাবেন!

গতকাল ছিল মায়ানগরীর তারকা তথা ‘বাদশা’ শাহরুখ খানের জন্মদিন। টালিউডও পিছিয়ে থাকে কেন? টলিউড অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীরও (Chiranjeet Chakraborty) জন্মদিন একই দিনে! এই দুই তারকার জন্মদিন নিয়ে আলোচনার মাঝেই টলিপাড়ায় নতুন করে সাড়া পড়েছে শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy) এক খোলামেলা স্বীকারোক্তি ঘিরে। চিরঞ্জিতের জন্মদিনে পুরনো স্মৃতির ঝাঁপি খুলে তিনি জানালেন এমন কিছু কথা, যা শুনে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছে!

শতাব্দীর কথায়, অভিনেতা চিরঞ্জিৎ ছিলেন তাঁদের সময়ের অন্যতম সুদর্শন নায়ক। উচ্চতা, ব্যক্তিত্ব আর একরোখা স্পষ্টভাষিতা তাঁকে করে তুলেছিল একেবারেই আলাদা। অভিনেত্রীর নিজের ভাষায়, “ওঁকে দীপকদা বলি। একে তো সুদর্শন, আবার শিক্ষিত। ওঁর সঙ্গে কথা বলতে দারুণ লাগত, মন খুলে কথা বলতাম।” শুধু সহঅভিনেতা নয়, পরিচালক হিসেবেও চিরঞ্জিতের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি, এমনকি তাঁর প্রযোজনাতেও একাধিক ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন নায়ক।

এই ঘনিষ্ঠতা থেকেই গুজবের সূত্রপাত — যা নাকি সেই সময়ে টলিপাড়ায় বেশ আলোচিত হয়েছিল। গুঞ্জন ছিল, পর্দার বাইরেও চিরঞ্জিৎ নাকি শতাব্দীর সম্পর্ক গড়িয়েছে অনেকদূর। সেই নিয়ে নাকি তাঁদের সম্পর্কের ‘রসায়ন’ নিয়ে ফিসফাস চলেছিল বহুদিন। অভিনেত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন, “আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা এতটাই ভালো ছিল যে, সবাই ভাবত আমরা প্রেম করছি!” তবে এই রসায়নের মাঝেই একসময় বড়সড় ঝড় বয়ে যায় তাঁদের সম্পর্কে। শতাব্দী আর চিরঞ্জিতের মধ্যে মনোমালিন্য চরমে পৌঁছেছিল।

তাঁরা নাকি আর একে অপরের মুখ দেখতেও চাইতেন না! ঝগড়াটা এতটাই গভীর হয়েছিল যে, একসঙ্গে কাজের সুযোগ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, সেই সংঘাত মেটাতে এগিয়ে এসেছিলেন চিরঞ্জিতের স্ত্রী ‘রত্নাবলী চক্রবর্তী’ স্বয়ং! শতাব্দীর কথায়, “বৌদি না থাকলে ওই ঝগড়া কখনও মিটত না। ঠান্ডা মাথায় আমাদের বুঝিয়েছিলেন, যা করছি ঠিক না।” এইপরেও আবারও ফিসফাস শুরু হয়েছিল — একদিকে স্বামীর সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে এত বোঝাপড়া, অন্যদিকে স্ত্রী নিজেই সেই সম্পর্কে মধ্যস্থতা করছেন!

আরও পড়ুনঃ স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন করতেন ঋজু ও তার পরিবার! শ্বশুরবাড়িতে মা’র‌ও খান একসময়ের নায়ক? ‘প্রমাণ দেওয়া হোক!’ নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই ফুঁসে উঠলেন ঋজু বিশ্বাস

এমন কাহিনি সিনেমাকেও হার মানায়। এরপর সময় গড়িয়েছে, বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা কেটে গেছে। আজও শতাব্দী আর চিরঞ্জিৎ দেখা হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেন, কিন্তু পুরনো এই স্মৃতির কথা কেউই আর উচ্চারণ করেন না। তাঁদের সম্পর্কের ভেতরে যতই জল্পনা থাকুক, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া আজও অটুট। তবে টলিপাড়ার গুঞ্জন থামেনি — কারণ যতদিন এমন রসায়ন থাকবে, ততদিন দর্শকের কৌতূহলও টিকে থাকবে সমানভাবে।