Sabyasachi Chowdhury: ‘কথা রাখতে পারলাম না’, কী কথা? শোক সামলে কাজে ফিরতেই আক্ষেপের সুর সব্যসাচীর গলায়

প্রায় দেড় মাস হয়ে গিয়েছে, অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা আমাদের ছেড়ে পরলোকে গমন করেছেন। এখনোও শোকে আচ্ছন্ন তাঁর পরিবার। তবে এর মাঝেই নিজেকে কিছুটা হলেও সামলে ফের ছোট পর্দায় ফিরতে চলেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার ‘মনের মানুষ’ সব্যসাচী, প্রিয় বন্ধুর অকাল প্রয়াণে তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। যা চিন্তায় ফেলেছিল পরিবার থেকে দর্শক সকলকেই। কিন্তু জীবন তো একটা নদীর মতো, বয়ে যেতে হয় সময়ের সঙ্গে। আর তাই সেই পথেই বয়ে যেতে হবে সব্যসাচীকেও।

আবারোও ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ালেন টিভি পর্দার প্রসিদ্ধ এই অভিনেতা সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলা অসুস্থ থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সমস্ত খবর দিতেন সব্যসাচী। তাঁর মৃত্যুর পরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রোফাইল ডিলিট করে দেন সব্যসাচী। নিজের প্রোফাইলও সরিয়ে নেন ইনস্টাগ্রাম থেকেও। কিন্তু ঐন্দ্রিলার প্রোফাইল রয়েছে সব জায়গাতেই, সেই প্রোফাইলে ঝলমল করছে সব্যসাচীর জন্মদিনে করা তাঁর শেষ পোস্ট।

দেড় মাস পরে আবারও একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় ঐন্দ্রিলার প্রোফাইল থেকে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, সব্যসাচীর সঙ্গে তাঁর পালন করা শেষ জন্মদিন। কেক কাটছেন সব্যসাচী, তাঁর মুখে কেক তুলে দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা। উল্লেখ্য, সাধক বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে অভিনয় করে বাঙালি দর্শকদের মন জয় করেছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী। বাস্তব জীবনে প্রেমের সাধনার মতোই তাঁর এই সাধনা ধারাবাহিকটি মন করেছিল ভক্তদের। ফের আবার সাধক রামপ্রসাদের চরিত্রে নিজেকে ফিরিয়ে আনলেন অভিনেতা।

Sabyasachi Chowdhury opens up about Aindrila Sharma's health condition
স্টার জলসার আসা এই ধারাবাহিকে এবার নতুন করে রামপ্রসাদের চরিত্রে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে। তার এই প্রত্যাবর্তনে খুশি তার সকল ভক্তরা। জানা গিয়েছে, নতুন ধারাবাহিকের প্রোমো প্রকাশ পেতেই নাকি ওয়েন্দ্রিলার মাকে আগে সেটি পাঠিয়েছেন সব্যসাচী। তবে প্রত্যাবর্তনেও আক্ষেপের সুর শোনা গেল তার গলায়। কি নিয়ে আক্ষেপের কথা বললেন অভিনেতা? জানুন

এ প্রসঙ্গে ঐন্দ্রিলার মা বলেন, “সব্য তো দাড়ি-গোঁফ কাটতেই চায়নি। মিষ্টি (ওয়েন্দ্রিলা) ওকে বলেছিল কোনওদিন শেভ না করতে। ও ক্লিন শেভ করাটা পছন্দই করত না। সব্য শেভ করার আগের দিনই আমাকে ফোন করে বলেছিল, ‘কাকিমা আমি তো কথা রাখতে পারলাম না।” তিনি আরও বলেন, “আমি তখন ওকে বোঝালাম যে চরিত্রের খাতিরে তো এটা করতেই হবে। আবারও তো পরে দাড়ি-গোঁফ রাখতে হবে। ও তখন বলল যে প্রথম ফেজটা এভাবেই হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফেসিয়াল হেয়ার থাকবে। আজও ওই কথা বলল।”