চাকরিক্ষেত্র হোক কি শিল্পের জগত, ‘নেপোটিজম’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কমবেশি সবার জানা। ইন্ডাস্ট্রির কালো দিক হিসেবে এই নেপোটিজমকেই দায়ী করেছেন অনেকে। মুখ খুলেছেন অভিনেতা ও অভিনেত্রীরাও। তবে, আরও একটি দিক নিয়ে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছেন শিল্পীমহল। দক্ষতা পরখ ছাড়াই সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল স্টারদের সরাসরি সিনেমা কিংবা ওয়েবের পর্দায় পা রাখা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এতে কী শিল্পের পরিবেশ খারাপ হচ্ছে না? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
দিন কয়েক আগে ডালহৌসির ভাইরাল নন্দিনী দির সিনেমায় অভিনয়ের খবরে অসন্তোষ জন্মায় শিল্পী মহলে। কারণ নন্দিনী দি পেশাগতভাবে অভিনেত্রী নন। কেবল জনপ্রিয়তার বিচারে আজ তিনি সরাসরি সিনে পর্দায়। নন্দিনী দির পর এবার নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলো আড্ডা টাইমসের নতুন প্রোমো। যেখানে ঝলকে দেখা যাচ্ছে মন্টি রায় কে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল স্টার মন্টি রায় ওয়েব পর্দায় পা রাখতেই বিতর্ক শুরু শিল্পী মহলে। মন্টি রায় কতটা অভিনয় পারেন? তিনি আদৌ কতটা যোগ্য, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় এ নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন শিল্পী দেবলীনা মুখার্জি। তাঁর মতে, যে ছেলেমেয়েরা রোজ বিভিন্ন স্টুডিওয় অডিশন দেন, ছোটাছুটি করে পায়ের জুতো খুইয়ে ফেলেন, তাঁরা কী আদৌ কোনো সুযোগ পাবেন?
একের পর এক অডিশন দিয়ে যাঁরা ক্লান্ত দিনের পর দিন একটা অভিনয়ের সুযোগও তাঁরা পাচ্ছেন না। বদলে কেবল অপেক্ষা করেই ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। অন্যদিকে কোনো পরিশ্রম ছাড়াই এক নিমেষে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন তথাকথিত ভাইরাল মুখেরা।
আরও পড়ুনঃ টান টান উত্তেজনা থাকবে আগামী পর্বে, পর্ণাকে নিয়ে ঘরবন্দী হবে সৃজন, তারপর?
এহেন পরিস্থিতির সমাধান কবে হবে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। মন্টি রায় হোক কী নন্দিনী দি পরিচিত মুখের ‘পর্দা ভ্রমণে’ কী আসল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না অসংখ্য প্রতিভাবান শিল্পী? কবে কমবে ইন্ডাস্ট্রির এই নেপোটিজম? এহেন ভাইরাল স্রোতে ভেসে যাওয়ার পন্থা? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন শত শত নবাগত শিল্পীরা।