দেবশ্রী রায় এবং অভিনেত্রী মহুয়া রায় চৌধুরী দুজনেরই উঠে আসা তরুণ মজুমদারের হাত ধরে। দুজনের এমন নামকরণ করেছিলেন পরিচালক নিজে। দুজনেই টলিউডের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। তবে অসময়ে চলে গিয়েছিলেন মহুয়া।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর এত বছর পর মুখ খুললেন দেবশ্রী। মহুয়া রায় চৌধুরীর বিয়ে থেকে ব্যক্তিগত কথা সমস্ত কিছু নিয়ে কথা বললেন তিনি।
জানান দেবশ্রী যেখানে থাকতেন সেই পাড়ায় প্রতি রবিবার ছোটদের নাচের অনুষ্ঠান হতো দেবশ্রী এবং তাঁর দিদি অংশগ্রহণ করতেন আর মাঝে মাঝে মহুয়া সেখানে যেতেন। তাই ছোট থেকেই শিপ্রা অর্থাৎ মহুয়াদিকে চেনেন দেবশ্রী রায়।
মহুয়া রায় চৌধুরীর পোশাকি নাম ছিল সোনালী রায় চৌধুরী। দেবশ্রীর মাকে মহুয়া ডাকতেন মাসিমা বলে। অন্যদিকে মহুয়া রায় চৌধুরীর বাবা দেবশ্রী মাকে বৌদি বলে সম্মোধন করতেন। যেহেতু দেবশ্রীর সঙ্গে মহুয়ার বয়সের অনেকটা ফারাক ছিল তাই মহুয়া দেবশ্রীর মায়ের সঙ্গে বেশি খোলামেলা কথা বলতেন।
জানিয়েছিলেন মহুয়ার বর তিলক চক্রবর্তীকেও ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন দেবশ্রী। তিলক চক্রবর্তী কিশোর কুমারের গান গাইতে মঞ্চে আর সেই থেকেই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপ হয় এবং পরবর্তীকালে মহুয়া রায় চৌধুরীই তাঁর স্ত্রী হন। দেবশ্রীর মাকে মহুয়া রায় চৌধুরীর স্বামী তিলক চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন যে তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করছেন।
রায়চৌধুরী বরাবরই একটু মেজাজি ছিলেন তবে পাশাপাশি বেশ হাসিখুশিও ছিলেন। মাঝে মাঝে গালিগালাজও করে বসতেন রেগে গেলে। সেটা কি মাঝে মাঝে দেবশ্রীর মনে হতো সংসার জীবনে কি সুখী হননি মহুয়া? মাঝে মাঝে অশান্ত দেখে মনে হতো। কিন্তু মেকআপ করার পর সবকিছু ভুলে যেতেন। ছেলে অন্ত প্রাণ ছিলেন।
দাদার কীর্তি সিনেমা এবং এর পাশাপাশি বেশ কিছু সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন দেবশ্রী এবং মহুয়া। এমন কি দেবশ্রী ও জানালেন যে পর্দায় দুজন বোনের চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তবে দুজনের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল। অন্যদিকে দুজনেই পশুপ্রেমী ছিলেন।
এসবের মধ্যেই ১৯৮৫ সালের স্মৃতিচারণা করলেন দেবশ্রী রায়। গতকাল অর্থাৎ ২২ শে জুলাই গায়ে আগুন লাগল এমনটাই খবর পেয়েছিলেন দেবশ্রী। কিন্তু ঠিক কী করে সব কিছু ঘটে গেল সে সমস্ত উত্তর জানতে পারেননি আজও। মহুয়া রায় চৌধুরীর। অনেক সম্মান পাওয়া বাকি ছিল বলে দাবি করলেন দেবশ্রী। অন্যদিকে আক্ষেপ করলেন যে নিজের ছেলে গোলাকে নিজের হাতে মানুষ করতে পারলেন না মহুয়া।