মহালয়ার (Mahalaya) প্রাক্কালে আবারও দেবীর রূপে ফিরলেন ‘দেবশ্রী রায়’ (Debasree Roy)। লাল শাড়ি, সোনার গয়না, মাথায় মুকুট আর খোলা চুলে— সব মিলিয়ে দর্শকদের চোখের সামনে যেন আবার জীবন্ত হয়ে উঠল মহালয়ার সেই চিরচেনা দৃশ্য। একটা প্রজন্মের কাছে যিনি ছিলেন টেলিভিশনের পর্দায় সর্বাধিক জনপ্রিয় দুর্গা, তাঁকে আবারও সেই সাজে দেখে দর্শকদের আবেগে ভেসে যেতে বাধ্য হলো। বহু বছর পর সেই নস্টালজিয়া ফিরিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর নৃত্যশৈলীও আজও ঠিক আগের মতোই ছুঁয়ে গেল মন। তবে কি মহালয়ার পূর্ণলগ্নে আমরা আবার দেখতে পাবো দেবী রূপে তাঁকে? না! এবার কোনও পর্দায় নয়, এক অনুষ্ঠানেই দেবী দুর্গার রূপ নিলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি শুধুই বিনোদনের জন্য নয়, এর পেছনে ছিল এক গভীর বার্তা। দীর্ঘদিন ধরেই ‘দেবশ্রী রায় ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে পথপশুদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। চিকিৎসা, আশ্রয় বা নির্যাতন থেকে রক্ষা— সব ক্ষেত্রেই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
এই বিশেষ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ‘ওদের পাশে আমরা’-র মূল উদ্দেশ্যও ছিল সেই স্বপ্নকে আরও বড় করে তোলা। অনুষ্ঠানে সংগৃহীত অর্থ ব্যবহার হবে পথকুকুরদের জন্য। গত ৫ সেপ্টেম্বরে জ্ঞান মঞ্চে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রূপঙ্কর বাগচী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র রায়, সৈকত মিত্র, স্বপন বসু, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য্য-সহ আরও অনেকে। তাঁদের গানের জাদুতেও সবাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন শতাব্দী রায় এবং সব্যসাচী চক্রবর্তী। দেবশ্রীর নাচ আর অন্যান্য শিল্পীদের সুরে একসাথে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হলো জীবে দয়ার বার্তা। এদিন দেবশ্রী রায় অনুষ্ঠানের শেষ জানান, অনেকদিন ধরেই তাঁর ইচ্ছে ছিল মহালয়া বা দেবী দুর্গার রূপকে কেন্দ্র করে কিছু করবেন। অবশেষে সেই ইচ্ছেই বাস্তব রূপ পেল এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে।
তাঁর মতে, সংস্কৃতি ও শিল্পই হতে পারে মানুষের সচেতনতার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। তাই মঞ্চকেই বেছে নিয়েছেন তিনি এই প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিন দেবশ্রী রায় দর্শকদের আরও কাছের মানুষ হয়ে উঠলেন। তিনি যে শুধুমাত্র একজন শিল্পী নন, বরং শিল্পী হওয়ার দায়িত্ব পালন করেন– সেটাই প্রমাণ করলে আবারও। মহালয়ার আগেই দুর্গারূপে এই উদ্যোগে সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিলেন নতুন করে।
আরও পড়ুনঃ শেষ মুহূর্তে মিঠির অভিমানেই ভেস্তে গেল স্বতন্ত্রর বিদেশে যাত্রা! অভিমান ভেঙে ছুটে এল মিঠি, চোখের জলে গলে গেল স্বতন্ত্রর কঠোর মন! কমলিনীর অস্থিরতা দেখে, মেয়েকে বুকে টেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলাল সে!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।