টলি-বলি মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী (Tota Roy Chowdhury)। একসময়ে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির হার্টথ্রুব ছিলেন। মহিলা ভক্তের সংখ্যা ছিল অগুনতি। আসল নাম পুষ্পরাগ। কলকাতায় এক বড়মাপের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম তার। অল্প বয়সে অভিনয় জগতে পা রাখেন। তারপর অভিনয় গুণে দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন একে একে।
ধারাবাহিকে রোম্যান্টিক রোহিত সেনের চরিত্র হোক কিংবা বলিউড ছবিতে আলিয়া ভাটের বাবা চন্দন চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র, টোটা মানেই পর্দায় অন্যরকম ম্যাজিক৷ দিনকয়েক আগে অঞ্জন রায়ের ছবি চালচিত্রেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। তবে কেরিয়ারের শুরুটা এত মসৃন ছিল না অভিনেতার।
পরিচালক প্রভাত রায়ের ডাকে সিনেমায় হাতেখড়ি টোটা রায়চৌধুরীর। প্রথম ছবি ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পুষ্পরাগের পরিবর্তে ধীরে ধীরে টোটা নামে পরিচিত হয়ে উঠলেন অভিনেতা। পরপর একাধিক ছবিতে খল চরিত্রে দেখা যেতে লাগলো টোটা রায়চৌধুরীকে। তবে ভিলেন তকমা মুছতে চাইছিলেন অভিনেতা।
এরপর তিনি চলে গেলেন টেলিভিশনে। ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গেও কাজ করলেন। তবুও ভিলেনের তকমা মুছলো না টোটার। ‘চোখের বালি’ ছবিতে অভিনয়ের পর নিজেকে অন্য রূপে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেন টোটা রায়চৌধুরী। এরপর বাংলা ইন্ডাস্ট্রি -তে বেশ কিছু নামকরা ছবিতে কাজ করে নিজের জাত চেনালেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন: ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়ে প্রেমে পড়লেন নায়ক-নায়িকা! আভাসে প্রেমের কথা জানালেন জলসার অভিনেত্রী !
ধীরে ধীরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখলেন তিনি। অভিনয় করলেন একের পর এক হিন্দি ছবিতে। হয়ে উঠলেন বাঙালির ফেলুদা। সৌমিত্র চ্যাটার্জি ও সব্যসাচী চক্রবর্তীর পর ওয়েব পর্দার ‘ফেলুদা ফেরত’-এর সূত্র ধরে বাঙালির পছন্দের ফেলুদা হয়ে উঠেছেন তিনি। বাঙালির মনে নিজের স্থান বানিয়ে নিয়েছেন অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী।