এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিকে এখন নতুন টুইস্ট এসেছে। এই ধারাবাহিক থেকে বিদায় নিতে চলেছেন রিনি মিশমি দাস। তাই ধীরে ধীরে পর্দা থেকে সরানো হবে তাঁকে। এদিকে সরকার বাড়ির সকলের সামনে বারবার রিনির মুখোশ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ঊর্মি। অন্যদিকে আবার তার শ্বশুরবাড়িতে থাকার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।
এর মধ্যেই ঊর্মির ঘরে ঢুকে নিজের কুকীর্তির কথা ফাঁস করে দেয় রিনি। তার কথা মোবাইলে রেকর্ড করে নেয় চালাক ঊর্মি। এরপর ওই পাড়া এবং সরকার পরিবারের সবাই যখন নতুন টিভিতে খেলা দেখতে বসে তখনই সেই ভিডিও চালিয়ে দেয় সে। ফাঁস হয়ে যায় যে বিয়ের আগে থেকেই কীভাবে ঊর্মিকে পদে পদে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে কাছে রিনি। শেষমেষ বাধ্য হয়ে রিনি নিজেও স্বীকার করে যে ঊর্মির স্বামী টুকাইয়ের নামে মিথ্যে বয়ান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কীভাবে সে ঊর্মিকে রাজি করিয়েছিল ওই পরিবার ছেড়ে এবং সেইসঙ্গে সাত্যকির জীবন থেকে পালিয়ে যেতে। এদিকে মৌ আবার ফাঁস করে দেয় যে বালিয়ারি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঊর্মিকে প্রাণে মারার চেষ্টাও করেছিল রিনি। তবে রিনি স্বীকার করে যে সে টুকাইকে নিজের করে নিতে চেয়েছিল। তাই এত কিছু পরিকল্পনা তার।
টুকাইয়ের পায়ে পড়লে সবাই যখন রিনিকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলে তখন রাগের বশে এসে সে ঊর্মির গলা টিপে ধরে তাকে খুন করতে। সেই সময়ই টুকাই ওরফে সাত্যকি এসে রিনির হাত থেকে বাঁচায় উর্মিকে। আর রিনির গালে জোরে থাপ্পড় দেয়। রিনির পর্দাফাস হয়ে যাওয়ায় দর্শক খুশি। তবে তারা এটা ভেবে দুঃখিত হয়েছে যে এরপর থেকে আর রিনিকে দেখা যাবে না পর্দায়। তারা চায় রিনি যেন এবার ঊর্মির কাকিমার মুখোশটাও টেনে খুলে দিয়ে যায়।