এয়ার ইন্ডিয়ায় বিরাট প্রতারণার শিকার ইমন চক্রবর্তী! ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক গায়িকা! সচেতন হন আপনিও

বাংলা সংগীতের আঙিনায় বর্তমান সময়ে এক উল্লেখযোগ্য নাম ‘ইমন চক্রবর্তী’ (Iman chakroborty)। কণ্ঠের গভীরতা আর আবেগের জাদুতে শ্রোতাদের মনে খুব অল্প সময়েই আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ‘প্রাক্তন’ ছবির ‘তুমি যাকে ভালোবাসো’ গানটির জন্য জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই গায়িকা আজ বাংলা সংগীতের এক উজ্জ্বল মুখ। লোকগান হোক কিংবা আধুনিক সুর, প্রতিটি ঘরানাতেই তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ। ইমনের গানে উঠে আসে অনুভবের আন্তরিকতা, যা শ্রোতাকে না ছুঁয়ে পারে না।

একটি বিমানযাত্রাকে কেন্দ্র করে এখন উত্তাল সমাজমাধ্যম! এবার প্রতারণার অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। সম্প্রতি ইন্দোর থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়া-র (Air India) বিমানে এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন, যা তাঁকে রীতিমতো হতাশ করেছে। সামাজিক মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইমন জানান, তিনি এবং তাঁর টিম সদস্যরা নির্দিষ্ট আসনের জন্য অতিরিক্ত টাকা দিয়ে থাকলেও, সেই আসন অন্য যাত্রীকে বরাদ্দ করা হয়।

ফলে তাঁদের যাত্রা হয়ে দাঁড়ায় অস্বস্তিকর। এই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট লেখেন ইমন। সেখানে তিনি বলেন, একদিকে যেমন পছন্দের সিট বেছে নিয়ে বাড়তি অর্থ দিতে হয়েছে, অন্যদিকে সেই সিট না পাওয়ার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত অন্যায় এবং অনৈতিক। ইমনের দাবি, এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা সঠিক আচরণ করেননি এবং যাত্রীদের সঙ্গে তাদের পেশাদারিত্বহীন ব্যবহারে বিরক্তি জন্ম নিয়েছে। শুধু ইমন নন, তাঁর সঙ্গে সফররত বাকিরাও এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।

ইমনের পোস্ট সামনে আসতেই সমাজ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। অনেকেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। কেউ বলছেন, তাঁর সঙ্গেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে দিল্লি থেকে কলকাতা ফেরার সময়। কেউ আবার এয়ার ইন্ডিয়ার সার্ভিস নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, “সেবার মান দিনে দিনে নিম্নমুখী হচ্ছে।” এমনকি কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, এই ধরনের ঘটনা যেন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সংস্থার ক্ষেত্রে।

তবে এই সব মন্তব্যের মাঝে একজন নেটিজেন ইমনকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করে লেখেন, এমন সমস্যা নাকি সাধারণ মানুষদের সঙ্গে ঘটে না, বরং উচ্চশিক্ষিত বা হাইপ্রোফাইল মানুষরা এ বিষয়ে সমাজ মাধ্যমে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে এমন গল্প আঁটেন। এমন কথায় চটেছেন ইমন। কড়া ভাষায় তিনি পালটা জবাব দেন, বলেন—এ ধরনের মন্তব্য যারা করেন, তারা হয়তো নিজেরা জীবন নিয়ে অতিষ্ঠ।

আরও পড়ুনঃ “হাত না দিয়েও আঘাত করা সম্ভব, কিছু ক্ষত চেহারায় ফুটে ওঠে না, কালশিটে পড়ে না!” আজও সমাজে প্রতিপদে মেয়েরা মৌখিক অত্যাচারের শিকার! অকপট প্রিয়াঙ্কা

তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তিনি ভাগ করেছেন, কারও এতে সমস্যা হলে তাঁর প্রোফাইলে না আসারই পরামর্শ দেন গায়িকা। সব মিলিয়ে, বিমান সংস্থার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠল। একইসঙ্গে সেলিব্রিটিদের সমাজ মাধ্যম ব্যবহার নিয়ে জনমানসে মতভেদও যে যথেষ্ট গভীর, তা-ও উঠে এল এই ঘটনায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া কি প্রতিক্রিয়া দেয় এই ঘটনার?