গত রবিবার দুপুরবেলা হঠাৎই একটা খবর গোটা বাংলা খেয়ে নড়িয়ে দিয়েছিল। মাত্র ২৪ বছর বয়সে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। চলে যাওয়াটা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না বঙ্গবাসী। তবে তার এই অকাল প্রয়ানে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে তার পরিবারের সঙ্গে তার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।
চলতি মাসের শুরুতেই হঠাৎ এই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। তারপর তড়িঘড়ি তাকে ভর্তি করা হয় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে গোটা কুড়ি দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছিলেন অভিনেত্রী কিন্তু এত লড়াই শেষে গিয়ে হার মানতে হয়। দু দু বার মরণ রোগ ক্যান্সারকে হারিয়ে আবার নিজের স্বপ্নের দুনিয়ায় ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু শেষবার আর হয়নি।
প্রসঙ্গত এই গোটা লড়াই তে তার পাশে ছিলেন অভিনেত্রীর বিশেষ বন্ধু অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। অভিনেত্রী অসুস্থ থাকাকালীন বারবার জানা গিয়েছিল যে বেশিরভাগ সময়টাই তিনি হাসপাতালে কাটাচ্ছিলেন। এমনকি অভিনেত্রী চলে যাওয়ার পরেও তার শেষ যাত্রা পর্যন্ত তিনি তার সঙ্গেই ছিলেন।
তবে সব্যসাচীকে পুরোটাই একটি রোবটের মত করতে দেখা গেছে। এত বড় একটা আঘাতের পরেও তার চোখ থেকে এক ফোটা জল পরেনি। এমনকি শুনে গেছে অভিনেত্রী চলে যাওয়ার পরে অভিনেত্রীর পরিবারের প্রতি সমস্ত কর্তব্য তিনি পালন করেছেন। কিন্তু একবারের জন্য শোক প্রকাশ করেননি। ঐন্দ্রিলার মারা যাওয়ার পরপরই তাকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে সরে যেতে দেখা গেছে।
তাই এখন তার কাছের মানুষসহ অনুরাগীরাও অভিনেতার মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। তাদের প্রত্যেকেরই মত এই শোকটা তার কাটিয়ে ওঠা উচিত। তারা জানাচ্ছেন গুরুতর শোকের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন সব্যসাচী নিজেও। যে কারণে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে গিয়ে সময় নিয়ে সামলে ওঠা দরকার অভিনেতার, এমনটাই মনে করছেন অনুগামীরা।