বাংলা সিনেমার মহানায়ক বলা হয় তাঁকে। বাংলা সিনেমা যাঁর অভিনয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে। যাঁর মতো নায়ক বাংলা সিনেমায় আর দ্বিতীয় আসেনি। যাঁর ক্যারিশ্মায় মুগ্ধ হয়েছে বাঙালি সমাজ তিনি উত্তম কুমার। বাংলা সিনেমার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতা তিনি।
অরুন কুমার হিসেবে জন্ম নিলেও নিজের প্রতিভায় তিনি হয়ে ওঠেন ভারত বিখ্যাত অভিনেতা বাঙালির অহঙ্কার, গর্ব। তিনি মহানায়ক “উত্তম কুমার।” অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটার অভিনয় জীবন ঠিক যতটা সফল ততটাই বিতর্কিত ব্যক্তিগত জীবন।
এই সুদর্শন অভিনেতার মহিলা অনুরাগী সংখ্যা যে অসংখ্য ছিল তা বলা বাহুল্য। বিবাহিত এই অভিনেতার জীবনে এসেছেন একাধিক নায়িকা। মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বিবাহিত উত্তমের। তবে উত্তম কুমারের স্ত্রী গৌরী দেবীর জীবনে দ্বিতীয় সতীন হয়ে এসেছিলেন সেই যুগের খ্যাতনামা নায়িকা সুপ্রিয়া দেবী।
বাড়িতে আর ফিরতেন না উত্তম কুমার। থাকতেন সুপ্রিয়া দেবীর কাছে। আসলে উত্তমের বাড়ি ফিরে আসা পছন্দ করতেন না সুপ্রিয়া। উত্তম যদি বাড়িকে প্রাধান্য দিতেন তাহলেই তীব্র অশান্তি বেঁধে যেত সুপ্রিয়ার। উত্তমকে কারর সঙ্গে ভাগ করতে রাজি ছিলেন না সুপ্রিয়া। সব সময় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতেন। যদিও নিজের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন উত্তম কুমার। কিন্তু থাকতেন না। জানা যায় যদি কোনদিন তিনি বাড়িতে থাকার মনস্থির করতেন সেদিন বাড়ির সমস্ত ফোনের লাইন খুলে রাখতেন যাতে সুপ্রিয়া ফোন না করেন।
জানা যায় পরনারীর প্রতি এই আকর্ষণ বাবার মতো ছিল ছেলে গৌতমের মধ্যেও। উল্লেখ্য, বাবার পথ অনুসরণ করে তিনিও দুবার বিয়ে করেন। গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রী হলেন সুমনা চট্টোপাধ্যায়। মহানায়ক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সুমনা ও গৌতমের বিয়ে দিয়েছিলেন। পুত্রবধূকে ভীষণই ভালোবাসতেন তিনি। অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়, নবমিতার মা হলেন সুমনা চট্টোপাধ্যায়।
জানা যায়, গৌতম চট্টোপাধ্যায় গান্ধর্ব মতে বিয়ে করেছিলেন মহুয়া চট্টোপাধ্য়ায়কে। যদিও মহানায়কের সম্মানের স্বার্থে তাঁকে মেনে নিয়েছিল চট্টোপাধ্যায় পরিবার। দু’জন দু’জনের সতীন হলেও বোনের মতোই সদ্ভাব তাঁদের। একই বাড়িতে একসঙ্গে থাকেন তাঁরা। উল্লেখ্য, এমনকী গৌরব-দেবলীনাও তাঁদের সঙ্গেই থাকেন। দুই শাশুড়ির সঙ্গেই ভীষণ ভালো সম্পর্ক দেবলীনার। দুই মায়ের আদরই সমানভাবে পেয়েছেন উত্তমকুমারের নাতি-নাতনিরা।