বর্তমানে বাংলা টলিপাড়ার সংবাদের শিরোনাম রয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ। ২০২১ সালে কাঞ্চন দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি কাঞ্চনের বিরুদ্ধে আনেন পরকীয়ার করার অভিযোগ। তারপরই শুরু হয় কাঞ্চন আর শ্রীময়ীর সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা। জানা গেছিল কাঞ্চনকে ডিভোর্স দিয়ে চলেছেন অভিনেত্রী এবং তর দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি। যদিও অভিনেতা সেই বক্তব্যকে নিছক মিথ্যে বলে কাটিয়ে দেন। তিনি বলেছিলেন পিঙ্কি নিজেই চাননা তার সঙ্গে সংসার করতে। সাত বছরের সম্পর্কে পিঙ্কি নাকি তার সঙ্গে কাটাননি সাতটা দিনও। পিঙ্কির এই রুক্ষ ব্যবহারই নাকি দায়ী তাদের আলাদা হওয়ার পিছনে। এরপর শুরু হয় তাদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।
তবে এইবছর শুরুতেই সেই সংবাদে পড়ল শিলমোহর। আইনিভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটল কাঞ্চন মল্লিক এবং পিঙ্কি ব্যানার্জীর। তবে সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই অভিনেতা বিধায়ক আবার বাধা পড়লেন বিবাহ বন্ধনে অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গেই। ১৪ ফেব্রুয়ারি তারা সেরে ফেলেছিলেন রেজিস্ট্রি। এরপর ২৯শে ফেব্রুয়ারি হয়েছিল শ্রীময়ীর মেহেন্দির অনুষ্ঠান, ১ মার্চ হয়েছে তাদের আইবুড়োভাত এবং ২ রা ফেব্রুয়ারি অগ্নিকে সাক্ষী রেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারকা। ৬ই ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কলকাতার একটি বিলাস বহুল ক্লাবে আয়োজন করা হয় অভিনেতা কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর রিসেপশন পার্টি।
বিয়ের মতোই রিসেপশনেও নিজেরই ডিজাইন করা পোশাক পড়েছিলেন শ্রীময়ী। তবে শুধু তিনি নিজেই নয়, এইদিন সদ্য বিবাহিত স্বামী কাঞ্চনকেও তিনি পড়িয়েছিলেন নিজেরই ডিসাইন করা পোশাক। রিসেপশনে অফ হোয়াইট রঙের লেহেঙ্গা করেছিলেন কাঞ্চনের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। তার সঙ্গে তিনি পড়েছিলেন বলিউডের তারকা অভিনেত্রীদের মতোই স্টোনের গয়না এবং হালকা মেকআপে গতবারের চমক ছিলেন তিনি। সিঁথিতে সিঁদুর এবং হাতে শাখা পলা। তবে কমতি ছিলনা কাঞ্চন মল্লিকের সাজেও।
View this post on Instagram
স্ত্রী যেখানে সেজেছিলেন অবাঙালিদের মতো করে, অভিনেতা সেখানে সেজেছিলেন বাঙালি স্টাইলে। কালো রঙের কুর্তা পাঞ্জাবির সঙ্গে তিনি নিয়েছিলেন একটি ডিজাইনার শাল। দুজনকে একসঙ্গে দেখাচ্ছিল খুব সুন্দর। সেখানে উপস্থিতি ছিলেন একঝাঁক টলি তারকা। সেখানেই শ্রাবন্তীকে দেখা যায় কাঞ্চনকে আলিঙ্গন করতে, মিমি চক্রবর্তী দেখা যায় কাঞ্চনের কানে ফুল গুঁজে দিতে। সকলের সামনেই তারা সেরে নেন আংটি বদলের অনুষ্ঠান। স্বামী কাঞ্চনকে তিনি পড়িয়েছেন প্লাটিনামের আংটি এবং কাঞ্চনও তার অনামিকায় পরিয়ে দেয় প্লাটিনামের আংটি। এটাই নাকি ছিল তাদের ফুলশয্যার উপহার।
আরো পড়ুন: নিম ফুলের কামাল! টিআরপিতে ফার্স্ট গার্ল দাবাং পর্না! কোথায় দাঁড়িয়ে জগদ্ধাত্রী, গীতা, দীপারা?
তবে সেখানে আমন্ত্রণ করা হয়নি কোনও প্রেসকে। অনুষ্ঠানে গেটের বাইরেই পরিষ্কার করে বলা ছিল প্রেস, সিকিউরিটি গার্ড এবং ড্রাইভারের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সকলেই যেন এই অনুরোধ মান্য করেন। কিন্তু কেন? কেন নিষিদ্ধ প্রেসের প্রবেশ? কেন প্রেস, ড্রাইভার বা গার্ড যেতে পারবে না ভিতরে। এমন কি হয়েছিল সেখানে? সেটা কি শুধু তাদের প্রাইভেসি বজায় রাখার জন্য নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ? কি লোকাতে চাইছেন অভিনেতা? স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগছে সকলের মনেই।
