বাংলার একজন খ্যাতিমান বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, এবং অভিনেতা হলেন কৌশিক গাঙ্গুলী (Kaushik Ganguly)। তিনি তাঁর ব্যতিক্রমী গল্প বলার ক্ষমতা এবং বাস্তবধর্মী সিনেমার জন্য পরিচিত। শব্দ, বিসর্জন, জ্যেষ্ঠপুত্র তার পরিচালিত অন্যতম চলচ্চিত্র। সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর নতুন ছবি ‘বিনোদিনী’। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী চূর্ণী গাঙ্গুলী একজন অভিনেত্রী, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার। তিনি টিভি এবং চলচ্চিত্র উভয় মাধ্যমেই অসাধারণ অভিনয়ের জন্য পরিচিত।
কৌশিক গাঙ্গুলী সম্প্রতি ‘এই সময়’ পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর নতুন চলচ্চিত্র এবং ‘বিনোদিনী’ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এর সঙ্গে আরও একটি চলচ্চিত্র আসতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ছবির নাম ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’। তিনি জানিয়েছেন এই দুটি ছবি একই দিনে মুক্তি পেতে চলেছে। নতুন বছরের শুরুতেই এমন ঘটনা ঘটায় তিনি খুবই খুশি এবং আপ্লুত বলে জানিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ একটি মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার, যেখানে বাস্তবতা ও কল্পনার সীমানা অস্পষ্ট হয়ে যায়। গল্পের মূল চরিত্র একজন লেখক, যিনি তাঁর সৃষ্ট চরিত্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন, এবং এই প্রক্রিয়ায় তাঁর নিজস্ব বাস্তবতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পরিচালক বলেন, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি মানুষের মনের জটিলতা ও সৃষ্টিশীলতার অন্ধকার দিকগুলি অনুসন্ধান করতে চেয়েছেন।
‘বিনোদিনী’ সম্পর্কে পরিচালক জানান, এটি ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত নাট্যশিল্পী বিনোদিনী দাসীর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র। তিনি বলেন, বিনোদিনীর সংগ্রামী জীবন, সমাজের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই এবং থিয়েটারের প্রতি তাঁর অবদান এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়বস্তু। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিনোদিনীর চরিত্রটি অত্যন্ত জটিল এবং শক্তিশালী, যা পর্দায় তুলে ধরা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তিনি আরও বলেন, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি বিনোদিনীর জীবন ও তাঁর সময়ের সমাজব্যবস্থার প্রতিফলন করতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ঋতুস্রাব থেকে মা হওয়ার যন্ত্রণা, সবথেকে বেশি কষ্ট সহ্য করেন নারীরাই, তাই সব থেকে বেশি শক্তিশালীও তারাই! নারী শক্তির জয় গান গাইলেন রুক্মিণী
দুটি ছবিতেই ভিন্ন রূপে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন কৌশিক গাঙ্গুলী। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আশাবাদী তিনি। তিনি বলেন, “যত বেশি মানুষ দেখেন ততই জাজমেন্টাল হয়”। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, দুটি চলচ্চিত্রেই তিনি সমাজের বিভিন্ন দিক ও মানুষের মনস্তত্ত্বের গভীরতা তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এই ধরনের বিষয়বস্তু দর্শকদের ভাবতে ও প্রশ্ন করতে উদ্বুদ্ধ করবে। গাঙ্গুলি আশা প্রকাশ করেন যে, দর্শকরা এই চলচ্চিত্রগুলি উপভোগ করবেন এবং এর মাধ্যমে নতুন কিছু উপলব্ধি করবেন।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!