২৬ বছরের বয়সের পার্থক্য, একসঙ্গে ২২ বছর লি’ভ ই’ন, তারপর বুড়ো বয়সে বিয়ে! রূপকথাকেও হার মানাবে দীপঙ্কর দে-দোলন রায়ের প্রেম কাহিনী

বাংলায় একটা কথা আছে প্রেম কোনো ধর্ম বর্ণ বা বয়স এর ধার ধারে না। সেরকমই একটা প্রেম পূর্ণতা পাবার গল্প হলো দোলন-দীপঙ্কর এর প্রেম। আমাদের তথাকথিত সমাজের বানানো ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম এর বেড়াজাল ভেঙে, বিভিন্ন ধরনের উঁচু নীচু কথাবার্তা কে পাত্তা না দিয়ে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন দোলন-দীপঙ্কর আর সেই প্রেমের গাড়ি চলছে গড়গড়িয়ে।

তাদের এই সম্পর্ক নিয়ে বহু জায়গায় বহু কথা শুনতে হয়েছে তাদের, কিন্তু ওই যে কথায় আছে সম্পর্কের ভিত যদি প্রেম হয় তাহলে সব বাধা একসাথে হাত ধরে অতিক্রম করা যায়। ঠিক তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দোলন-দীপঙ্কর এর সম্পর্কে।
দীর্ঘ বাইশ বছর স’হ’বা’স করার পর অবশেষে ২০২০-র ১৬ই জানুয়ারি সামাজিক মতে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে সারেন তারা দু’জন।

বিয়ের সময় দীপঙ্কর এর বয়স ৭৫ এবং দোলনের ৪৯, কিন্তু ভালোবাসার জন্য বয়স যে কেবল একটা সংখ্যা মাত্র তা আবার দুজনের মিলনের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেলো।

খুব সাধারণ ভাবে বিয়ে সারেন দুজন, দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্কের এক নামী রেস্তোরাঁতে তারা রেজিস্ট্রি করে তারা চার হাত এক করেন। গুটি কয়েক আত্মীয় স্বজন ও প্রিয়জনের উপস্থিতি নিয়ে ছোট্ট একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন তারা। দীপঙ্করের পরনে ছিল সাদা ধুতি ও পাঞ্জাবী এবং দোলনের পরনে ছিল লাল টুকটুকে বেনারসি সঙ্গে সিঁথি ভর্তি লাল সিঁদুর, এক কথায় দুর্দান্ত দেখাচ্ছিল অভিনেত্রীকে।

বিয়ের পর দীপঙ্কর অসুস্থ হয়ে পড়লে দোলন একা হাতে সব সামলেছেন এবং অনেক কথাও শুনতে হয়েছে। বিয়ের এক বছর পর প্রথম বিবাহ বার্ষিকী তারা ঘরোয়া ভাবে উদযাপন করেছেন। সেদিন দোলন নিজের হাতে দীপঙ্কর এর সব প্রিয় পদগুলি রান্না করে পরিবেশন করেন। জয় হোক এই ভালবাসার, এমনটাই চান তাদের অনুরাগীরা।