আচমকা বিয়ে করে ফেললেন বিক্রম এবং মধুমিতা! কিন্তু বিয়ের পরে তৈরি হল নতুন সমস্যা, কীভাবে সমাধানের পথ খুঁজবে মধু?
নাম পড়েই মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠল তাই না? তবে এই আচার খাওয়ার আচার নয়, এটা সিনেমার নাম। হ্যাঁ এখন রিলিজ হয়েছে ট্রেলার।
আর এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং মধুমিতা সরকার। সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে বড় পর্দায় জাঁকিয়ে বসেছেন দুজনেই।
এছাড়াও সুদীপ দাসের পরিচালনায় এই সিনেমাতে দেখা যাবে অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদারকে। পাঁচ বছর পর বড় পর্দায় ফিরবেন ইন্দ্রানী। সে সঙ্গে রয়েছেন নীল মুখোপাধ্যায়। একেবারে পারিবারিক গল্প ফুটে উঠবে কুলের আচারের মাধ্যমে।
তবে এর মধ্যে অনেক টুইস্ট রয়েছে। আর তার পাশাপাশি রয়েছে সামাজিক বার্তা। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৫ই জুলাই পর্যন্ত। অন্যদিকে ট্রেলারের গল্প বলতে গেলে মিঠি আর প্রীতম নব দম্পতি।
তবে মিঠি আজকালকার মেয়ে। সে বিয়ের পর নিজের পদবী বদলাবে না। এদিকে বিয়ের পর মেয়েদের পদবী নিয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয়। এই পদবি নিয়েই গল্পের প্রধান বিষয় গড়ে উঠবে। স্বামী-স্ত্রীর পদবী আলাদা হওয়ার জন্য মধুচন্দ্রিমা দে গিয়েও এই দম্পতিকে পুলিশের হেনস্থা মুখে পড়তে হয়। পরিবার এবং সামাজিক চাপে পদবি বদলানোর জন্য দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা ঘটে যেতে থাকে দুজনের ক্ষেত্রে।
এদিকে সমস্যা শুরু হয় শ্বশুর বাড়িতে। মিঠির এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ শশুর এবং শাশুড়ি প্রণোতোষ ও মিতালী। নানা রকম কটাক্ষ ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। শাশুড়ির চরিত্রে ইন্দ্রানী এবং শশুরের চরিত্রে নীল মুখোপাধ্যায়কে দেখা যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন হাস্যরস রয়েছে এই সিনেমায়।
সিনেমায় শুধু টক-ঝাল বিষয় নেই সেই সঙ্গে মিষ্টির ছোঁয়াও পাওয়া যাবে। অবশেষে আসা যাক এই সিনেমার নামকরণের ক্ষেত্রে।
আপাতভাবে নাম শুনে মনে হবে কুলের আচার অর্থাৎ খাবারের একটি পথ। কিন্তু একেবারেই সেটা নয়। এখানে বলা হয়েছে কুল আর থাক বংশ এবং আচার মানে রীতি-নীতি। পুরুষতান্ত্রিক চাপে আজ বংশের মর্যাদা ও আচার-বিচার যে গোড়ামির জন্ম দেয় তাতে যাতাকলে পিষে যায় বাড়ির বউ এবং মেয়েরা। সেই বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছেন পরিচালক।