“আমি হৃদয় দিয়ে কথা বলি, আমার মাথাটা কাজ করে না, করলে আজকে যতটা জনপ্রিয়, আরও বেশি হতে পারতাম!” ‘নিজের স্বামীকে যখন তখন অপমান করছেন, আর মাথা কাজ করেনা?’,’ আপনি অহংকারী, দাম্ভিক’ কটাক্ষ নেটপাড়ার

টলিউড তথা বাংলার সঙ্গীত জগতে ‘লোপামুদ্রা মিত্র’ (Lopamudra Mitra) কেবল একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পীই নন, তিনি এক অনন্য ব্যক্তিত্বও বটে। গানের মঞ্চ থেকে বাস্তব জীবন, দুই জায়গাতেই তিনি নিজের স্পষ্টভাষী স্বভাব আর নিজস্বতার জন্য আলাদা পরিচিতি লাভ করেছেন। বাংলা গানে তাঁর অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনই সংসার জীবনকেও তিনি গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তবে এই অকপট মনোভাবের জন্যই বারবার নানা বিতর্কের কেন্দ্রে আসতে হয়েছে তাঁকে।

কিছুদিন আগেই লোপামুদ্রা এমন একটি মন্তব্য করেন, যা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায় সমাজ মাধ্যমে। হাসি-ঠাট্টার ছলে তিনি বলেন, “জয় থাকত ক্যান্টনমেন্ট, আমি বিয়ে করে কলকাতায় আনলাম। এখন মোটামুটি চিনেছে, তাই নিয়ে আবার খুব ভাব দেখায়। সাউথ কলকাতা নিয়ে একটা লেখালেখি করেছে, আমি দেখে কমেন্ট করেছি— লোপামুদ্রা না থাকলে জয় সরকার হতো না!” এই কথার পরই অনেকের খারাপ লাগে, কারণ কারও কারও কাছে মন্তব্যটি একেবারেই অহংকারের মতো লেগেছিল।

Lopamudra Mitra, Joy Sarkar, married life, Controversial Statements, Dumdum Cantonment, South Kolkata, Husband Remark, Netizen Reaction, Facebook controversy, Bengali Singer, Social Media Troll, Outspoken Artist, Tollywood, লোপামুদ্রা মিত্র, জয় সরকার, সংসার জীবন, বিতর্কিত মন্তব্য, দাম্পত্য তিক্ততা, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, সাউথ কলকাতা, লোপামুদ্রার বিতর্কিত মন্তব্য, স্বামীকে নিয়ে কটাক্ষ, নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া, ফেসবুক বিতর্ক, বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোল, টলিউড

শুধু এখানেই থামেননি গায়িকা। আরেকবার মজা করেই বলেন, তাঁর বুটিকের জন্য স্বামী জয়কে বিনামূল্যে মডেল হতে হয়, বিনিময়ে ক’টা জমা পড়তে পারেন তিনি। এইরূপ একাধিকবার খানিক দম্ভের সুর মেশানো মন্তব্যে নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। লোপামুদ্রাকে নিয়ে নানান বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছিল। সমাজ মাধ্যমে কথা উঠেছিল যে, তিনি অনেক অহংকারী। খুব দম্ভ এবং স্পষ্টবাদীতার নামে এসব কথার কোনও মানেই হয় না! যদিও সমালোচনার মুখে লোপামুদ্রা এবার স্পষ্ট জানিয়েছিলেন নিজের অবস্থান।

এদিন এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার মাথাটা কাজ করে না, আমি যা বলি হৃদয় থেকে। অনেকে হয়তো ভাবেন যে, কি একটা করে দিল, এটা কি বলছে– তাদের এটা মাথায় রাখতে হবে যে আমি বলছি না। কথাগুলো আমার হৃদয় বলছে। এই কথাটা যাঁরা মানতে পারব না, তাঁরা আমায় হারাবে। আজকে যতটা জনপ্রিয় আমি, তার থেকেও অনেক বেশি পেতে পারতাম যদি মাথাটা কাজ করত।” অনেকেই যদিও এটা শুনে, অতীতের বলা কথা দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা দেখতে পাচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ প্রেম না বন্ধুত্ব, সন্দেহের অবসান! টলিপাড়ার নতুন জুটি দেবলীনা-সৌম্য! প্রেম করছেন দু’জনে,এবার সম্পর্কে দিলেন সিলমোহর! দীর্ঘদিনের গুঞ্জনের ইতি? কবে বসছেন বিয়ের পিঁড়িতে?

আবার কিছু জনের মতে তিনি অত্যন্ত ভদ্র একজন শিল্প, যার মুখ দিয়ে বলা প্রতিটা কথাই গানে বোঝা যায়। তবে এই নিয়েও ভিন্ন ভিন্ন মত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু যাঁকে কেন্দ্র করে এত বিতর্ক, সেই জয় সরকার কিন্তু স্ত্রীর পক্ষে বা বিপক্ষে আজও কোনও মন্তব্য করেননি। শেষে বলতেই হয় যে বিতর্ক যতই থাকুক, লোপামুদ্রা মিত্র আজও বাংলার অন্যতম প্রিয় সঙ্গীতশিল্পী, যিনি একই সঙ্গে আধুনিক সংসারী নারী এবং সুরের সাধিকা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।