আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন মানুষকে জনপ্রিয়তা দেয়, তেমনই এনে দেয় তীব্র সমালোচনাও। বিশেষ করে বিনোদন জগতের তারকাদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই। একদিকে যেমন তারা তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে চান ভক্তদের সঙ্গে, অন্যদিকে অকারণ ট্রোলিংয়েরও শিকার হন বারংবার। ঠিক তেমনটাই হয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামীর ক্ষেত্রে।
কতটা কঠিন কাজ-জীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখা তা একমাত্র একজন মা-ই জানেন। সন্তান জন্মের পর বহু অভিনেত্রী সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের দিকে বেশি মনোনিবেশ করার। অথচ তাঁদের এই সিদ্ধান্তও সমাজের একাংশের কাছে কটাক্ষের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। মধুবনী গোস্বামী ঠিক সেই অভিজ্ঞতারই মুখোমুখি হয়েছেন সম্প্রতি।
এক সময় ভালোবাসা ডট কম খ্যাত নায়িকা তোড়া চরিত্রে দর্শকের মন জয় করেছিলেন মধুবনী। পরে বিয়ের পর একাধিক ধারাবাহিকে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেও সমান জনপ্রিয়তা পান। কিন্তু সন্তান জন্মের পর নিজেই অভিনয় ছেড়ে দেন এবং নিজের ব্লগিং ও পার্লারের ব্যবসায় মন দেন। যদিও এই সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর নিজের ছিল, কিন্তু ট্রোলাররা দাবি করেন যে কাজ না পাওয়ার কারণেই তিনি অভিনয় ছেড়েছেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্টে মধুবনী লেখেন, ‘‘আমি নাকি কাজ পাইনি বলে অভিনয় ছেড়ে এসেছি? ঠিক আছে বাবা, আপনারা যা বলছেন সেটাই ঠিক। নিজের মনকে সান্ত্বনা দিতে চাইলে দিন… তবে জেনে রাখবেন, অভিনয় হোক বা ব্লগিং বা পার্লার চালানো, প্রতিটা ক্ষেত্রেই দক্ষতা লাগে। এগুলো তুড়ি মেরে করা যায় না।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘আজ যারা এক সময় আমার অভিনয় দেখতেন, তারাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার ব্লগ দেখছেন। তাহলে দর্শক ধরে রাখার ক্ষমতা কার বেশি? একটু ভেবে দেখবেন।’’
আরও পড়ুনঃ “ওভারঅ্যাক্টিং করতেন সুচিত্রা, সাবিত্রী দি আসল মহানায়িকা”— মহানায়িকা সুচিত্রাকে মানতে নারাজ লিলি চক্রবর্তী! মহানায়িকার আসন নিয়ে তীব্র মন্তব্য প্রবীণ অভিনেত্রীর! সুচিত্রাকে করলেন খাটো!
স্পষ্টতই, মধুবনীর এই পোস্টে তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি দৃঢ়তা প্রকাশ পেয়েছে। কটাক্ষকারীদের ঠান্ডা মাথায় এক হাত নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে নিজের পছন্দের কাজ করতে হলে কারও অনুমতির দরকার নেই। বরং, নিন্দার মুখেও যাঁরা মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলেন, তারাই সত্যিকারের সফল।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।