“আমি কখনও মা হতে পারিনি, সেই আক্ষেপ আমার গোটা জীবনের!” স্বামীর শেষ নিঃশ্বাস থেকে বৃদ্ধ বাবা-মার যত্ন নেওয়ার মধ্য দিয়ে নিজের জীবনের শূন্যতা জয় করেছেন অভিনেত্রী!

টেলিভিশন ও বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালবিকা সেন (Malabika Sen) যে শুধু অভিনয়েই নয়, নাচেও সমান পারদর্শী, তা সবাই জানেন। সম্প্রতি জি-বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে পুতুল’ থেকে বিদায় নেওয়ার পরও তার ভক্তরা তাকে মিস করছেন। তবে এই সফলতার পেছনে তার জীবনে রয়েছে কিছু ব্যক্তিগত অধ্যায়, যা খুব কম মানুষই জানে। সম্প্রতি এক বিশেষ অভিনেত্রী নিজে তার জীবনের সেই দিকগুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন।

সাক্ষাৎকারে মালবিকা জানান, তার জীবনে এমন একটি সময়ও ছিল যখন দিনরাত কুড়ি-চব্বিশ ঘণ্টা কাজের মাঝে তিনি নিজেকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতেন। কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও তার জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল তার বিবাহিত জীবন। তার স্বামী ছিলেন তার থেকে প্রায় দশ বছর বড়। স্বামী মাঝেমধ্যে শিশু সদৃশ আচরণ করতেন এবং সেই মুহূর্তগুলোতে মালবিকা নিজেকে দুহাতে আগলে রাখতেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার স্বামী মারা যাওয়ার সময়ও তিনি পাশে ছিলেন। মালবিকার কোলেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তার প্রিয় মানুষ। সেই সময় তার চারপাশে কেও ছিল না, শুধু তার নিজের উপস্থিতি এবং ভালোবাসা ছিল যা তাকে শক্তি জোগায়। সেই মুহূর্তের শূন্যতা তার জীবনে গভীর ছাপ ফেলেছিল।

মালবিকা বলেন, প্রত্যেক নারীর মধ্যে মাতৃত্বের প্রবণতা স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নেয়। যদিও নিজে কখনো মা হতে পারেননি, তার কাছে আক্ষেপ থাকলেও তার ভালোবাসা কখনো কমে যায়নি। তিনি যাদের কাছে মমতা দেখান, তাদেরকে সন্তানের মতোই যত্ন এবং ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন। এখন তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে সন্তানরূপে আগলে রেখেই মালবিকা তার দিনগুলি কাটাচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ “ওঁর মধ্যে মাতৃত্বসুলভ একটা ব্যাপার আছে…আগের সরকার সম্মান দেয়নি, আমাদের মানুষ বলেই ভাবা হত না!”— মমতাকে ‘মা’ হিসেবে দেখছেন নচিকেতা চক্রবর্তী! আগের সরকারের নিন্দায় সরব, মমতার প্রতি পক্ষপাত স্বীকার করলেন গায়ক!

শেষ পর্যন্ত অভিনেত্রী বলেন, জীবন কখনো সহজ হয় না, কিন্তু ধৈর্য এবং ভালোবাসা দিয়ে যেকোনো শূন্যতাকে পূর্ণ করা যায়। স্বামী চলে যাওয়ার পরের যন্ত্রণা কাটিয়ে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজও মালবিকা সেন তার শিল্পী এবং মানুষ হিসাবে নিজের অবস্থান অটুট রাখছেন, এবং ভক্তরা তাকে অভিনয় ও নৃত্যের মাধ্যমে পছন্দের অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন।