বর্তমানে আরজি করের ঘটনা (RG Kar Incident) নিয়ে তোলপাড় গোটা কলকাতা। এ বিষয়ে বারে বারেই সরব হয়েছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। এবার কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়। নিজের বক্তব্য স্পষ্ট জাহির করলেন সমাজমাধ্যমে। মিমি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। আরজি করের ধর্ষণ ও সমাজের কিছু লোকের মানসিকতা নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন তিনি।
সমাজমাধ্যমে মিমির মন্তব্যকে ঘিরে প্রশংসার ঝড়
অভিনেত্রী লিখছেন,‘মেয়েটিকে ধর্ষিতা বলার আগে ছেলেটি যে ধর্ষণ করেছে সেটা বলা হোক। মেয়েকে সামলে রাখুন বলার বদলে ছেলেকে সঠিক শিক্ষা দিন। মেয়েকে নয়, বরং ছেলেকে বলুন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে তা হলেই নিরাপত্তা বজায় থাকবে। কারণ, দোষী তো পুরুষ, নারী নয়।’
মহিলাদের নিরাপত্তায় জোর দিতে একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মূলত ১৭ টি পদক্ষেপ কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম, মহিলাদের রাতের শিফট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যদিও এই ঘোষণার পর সরকারের সিদ্ধান্তে আরও বিরক্ত হয়েছেন বহু মানুষ। বিচারের দাবিতে চলছে প্রতিবাদ। এরই মাঝে প্রশ্ন তুলেছেন মিমি। মহিলারা রাত দখল করে পথে নেমেছেন। তাদেরকেই কিনা রাতে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলছে প্রশাসন?
এদিকে সরকারি এই ঘোষণার পরই সমাজমাধ্যমে একটা পোস্ট করেছেন প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। একটা পোস্টার শেয়ার করেছেন মিমি। যেখানে কিছু কথা লাল কালিতে কাটা। সে ধর্ষিতা, মেয়েকে রক্ষা করুন, আর মেয়েদের তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলুন ঠিক তার পরেই আর কিছু কথা রেখে দেওয়া হয়েছে। রেখে দেওয়া কথাগুলি হল, ‘ছেলেটি তাকে ধর্ষণ করেছে’, ‘নিজের ছেলেকে শিক্ষা দিন’, ‘তাই আপনার ছেলেকে তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসতে বলু, তাহলেই নিরাপত্তা বজায় থাকবে’।
মিমির এই কড়া বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। তিনি মিমির বার্তা নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন। আরজি কর কাণ্ডে শুরু থেকেই নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন মিমি। পথেও নেমেছেন অভিনেত্রী। তাঁর দাবি ছিল, ‘দোষীর এমন শাস্তি হোক, যেন অপর কেউ এধরনের অপরাধের কথা ভাবলেই মেরুদণ্ড কেঁপে ওঠে।
আরও পড়ুন: উত্তাল সময়ের মধ্যে বিচ্ছেদের জল্পনা! বিয়ে ভাঙছে চন্দ্রবিন্দুর অনিন্দ্যর, ঘোষণা স্ত্রীর
রবিবার টলিউডের তরফ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিলে ছিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেন ও অন্যান্যরা। মিছিলের শেষে, জমায়েতের মধ্যে পরমব্রতকে বলতে শোনা যায়, ‘রাজ্য সরকার নারী সুরক্ষায় নতুন কিছু নিয়ম প্রণয়ন করার চেষ্টা করেছেন। সেই পদক্ষেপকে স্বাগত। কিন্তু সেখানে আমার একটি প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। মেয়েদের নাইট ডিউটি না দেওয়ার একটি প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। আমরা যদি এই জায়গাতেই চলে যাই, তাহলে ১৪ তারিখ রাতে আমাদের রাত দখলের ডাক দিয়ে কী লাভ হল?’