“আমার সামনেই নিজের মাকে মা’রতো…কথায় কথায় আমাকেও এমন মা’রতো, কেউ কুকুরকেও ওভাবে মা’রে না!” “আইনের সাহায্যও পাইনি, বারবার মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছে!”— সাংবাদিক বৈঠকে প্রেমিক টুবানের বিরুদ্ধে নয়নার বিস্ফো’রক তথ্য ফাঁস!

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে আবারও এক অভিনেত্রীর উপর প্রেমিকের শা’রী’রিক নি’র্যাত’নের ঘটনা নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। অভিনেত্রী ‘নয়না গঙ্গোপাধ্যায়’ (Naina Ganguly) বলিউড এবং টলিউড এবং দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিরও এর বেশ পরিচিত মুখ। অনেকদিন চুপ করে থাকলেও, এবার তিনি নিজের জীবনের অনেক কঠিন সত্যি সামনে এনেছেন। নয়না জানিয়েছেন, তার অভিযুক্ত প্রেমিক ‘টুবান চক্রবর্তী’ (Tuban Chakraborty), যাকে বেশিরভাগ মানুষ চেনেন ডান্স ডিরেক্টর বা কোরিওগ্রাফার হিসেবে। তাঁর সঙ্গেই দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু সেই সম্পর্কটা ছিল খুবই যন্ত্রণার।

নয়নার কথায়, টুবান দিনের পর দিন অপমান, হুমকি, এবং সম্পর্কের নামে চাপে ফেলে তাকে অভিনয় জগত থেকেও দূরে রেখেছিলেন। নয়না কিছুদিন আগেই জানান, তিনি তিন বছর ধরে কোনও কাজ করতে পারছেন না, আর এই সময়টায় শুধু নিজের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে গেছেন। এমনকি টুবান একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। নিজের জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন নয়না, এবং সব মিলিয়ে একটা ভাঙনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনার পরে নয়না পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার টুবানকে গ্রে’প্তার করে পাটুলি থানার পুলিশ। পরে তাকে আদালতেও তোলা হয়। তবে নয়নার লড়াইটা এত সহজ ছিল না। তিনি জানান, আইনের সাহায্য চাইতে গিয়েও কোনও বিচার পাননি তিনি। এরপরেই এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নয়না সব তথ্য তুলে ধরেন, যার ভিত্তিতে তিনি অভিযোগটা করেছেন। প্রথমেই তিনি কিছু ছবি দেখান আর তারপর অভিনেত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ শুনলে থমকে যেতে হয়। প্রথমত, তিনি জানান যে আইনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি তার। উল্টে লাগাতার মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাঁকে।

প্রেমিক সম্পর্কে তিনি বলেন, টুবান শুধু তাকে অভিনয় করতে দেননি এমনটা নয়, বরং তাকে নানান বাধ্যবাধকতার মধ্যেও রাখতেন। একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কেও ছিল। এমনকি নয়নার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন নিজের আত্ম-সহায়কের সঙ্গেও জীবন সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে পড়েন। এদিন তাঁর কথায়, “বগিত তিনি বছর ধরেই আমার হাতে কোনও কাজ নেই, বরং বলা ভালো যে করতে পারিনি। টুবান আমায় করতে দিত না, বলত বাড়িতেই থাকতে। অনেক ছবি, সিরিয়াল থেকে শুরু করে ওয়েব সিরিজ, এমনকি অ্যাডের সুযোগও পেয়েছিলাম।

কোনোটাতেই রাজি হয়নি। বলত যদি করি তাহলে ওকেই সব টাকা দিতে হবে। এমনকি আমার জিমে যাওয়াও বন্ধ করিয়ে দিয়েছিল, সবকিছুতেই সন্দেহ করতো। কথায় কথায় এমন মারতো যে, কেউ কুকুরকেও ওরম মারে কি না সন্দেহ আছে। আমার মায়ের সামনে চুলের মুটি ধরে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেওয়া থেকে শুরু করে, মেরে হাত-পা কেটে দেওয়া। আমাকে তো ছাড়ুন, নিজের মাকেও ছাড়ত না। ওর মা একদিন দুঃখ করে বলেছিল যে ছেলে টাকা দেয় না। আমি তাই কিছু টাকা আর বাজার করে দেই, সেটা টুবন জানতে পেরে আমার সামনেই মকে খুব মার মারে।

আরও পড়ুনঃ “মা, হয় আমায় শক্তি দাও। না হলে আমার উপর ভর করো!” “অসুরের বিনাশ কখনওই হয় না, তাই যুগে যুগে মা দুর্গা এবং কালীর আবির্ভাব!”— ভদ্রকালী রূপে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন কৌশানি! অভিনেত্রীর জীবনে নাকি দেবীচরিত্রে অভিনয় বদলে দিয়েছে অনেক কিছু!

কাউকে কোনদিনও আমাদের সম্পর্কের কথা জানাতে দেয়নি। বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতনের পর আমি বেরিয়ে আসা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিন্তু পর মুহূর্তেই ওর ক্ষমা চাওয়া আর নরম রূপ দেখে থেকে গেছি। নাচের ক্লাসের যেতাম আমার কাছ থেকে টাকা নিতো, বলত লোকে জেনে যাবে সম্পর্ক তাই। লিভইন করলে লোকে একসঙ্গে থাকে, কিন্তু আমরা আলাদা বাড়িতে থাকতাম। একদিনের বাড়ি গিয়ে বেডরুমে ওর ছাত্রীকে দেখি। আমার মুখের কথা বিশ্বাস না হলে, ইন্ডাস্ট্রির যে কোনও লোককে জিজ্ঞেস করলেই ওর চরিত্র বোঝা যাবে।”