শেষমেষ সমস্ত গুজবে ইতি টানলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর পরবর্তী পরিকল্পনার মুখ্য চরিত্রকে নিয়ে ছিল দ্বন্দ্ব। ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম’-এ গৌরাঙ্গ চরিত্রে কে অভিনয় করবেন! তার সমাধান হয়ে গিয়েছে।
‘মহাপ্রভু’ মানেই যীশু সেনগুপ্তর নাম মাথায় আসে। তবে এই ছবিতে তাঁকে দেখা যাবেনা মহাপ্রভুর চরিত্রে। শেষমেষ ‘গৌরাঙ্গ’ চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। স্বয়ং জানালেন পরিচালক। ছবির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের কথাও জানালেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মহাপ্রভুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী লক্ষীপ্রিয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। এরই পাশাপাশি নিজের এবং যীশু সেনগুপ্তর ঝামেলা নিয়ে মিথ্যা রটনার কথাও সংবাদমাধ্যমকে বললেন পরিচালক।
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২০১৯-এই মহাপ্রভুর জন্য বাছা হয়ে গিয়েছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। ছবিতে অনির্বাণ ভট্টাচার্য থাকছেন। কিন্তু অন্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। যদিও বা প্রযোজক রানা সরকার যীশু সেনগুপ্তকে চেয়েছিলেন মহাপ্রভুর চরিত্রে। সবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পরমব্রতকেই মহাপ্রভুর চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। বিষয়টি জেনে খুশী অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
তবে এদিকে চরিত্রটি নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রয়েছেন অভিনেতা। মহাপ্রভুর চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা অত সহজ নয়। এই বিষয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু এসব কিছুর মাঝে যীশু সেনগুপ্তকে জড়িয়ে ফেলা কি কারণে! তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে ইতিমধ্যেই মানসিক প্রস্তুতির পাশাপাশি শারীরিক প্রস্তুতির দিকেও নজর দিয়েছেন অভিনেতা। কারণ ছবিতে দীর্ঘ সময় তাঁকে দেখা যাবে খালি গায়ে। তার জন্য কিছু বদল আনতে হবে শরীরে। মহাপ্রভুর চরিত্র সব চরিত্র থেকে অনেকটাই আলাদা।
পাশাপাশি জানা গেল পরিচালকের “মানবজমিন” ছবিতেও দেখা যাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। এদিকে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারকে নিয়ে পরিচালক জানান, এখনও পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রি ঠিকমতো প্রিয়াঙ্কাকে ব্যবহার করেনি। তিনি মনে করেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার তাঁর আশা পূরণ করবেন। অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই উত্তেজিত নিজের চরিত্র নিয়ে।
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার সবসময়ই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকেন। তবে এবারের কাজ সম্পূর্ণ আলাদা। ‘লক্ষীপ্রিয়া’ চরিত্রের জন্য অনেকটা পড়াশোনা দরকার, চেহারার পরিবর্তন দরকার। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর হাতে কিছুটা সময় আছে নিজেকে চরিত্রের জন্য তৈরি করার। পরিচালকের পরামর্শ ইতিমধ্যেই টনিকের মতো কাজ করছে। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছেন অভিনেত্রী। অভিনেতার সঙ্গে প্রায় অনেকটা পথ চলা হয়ে গিয়েছে তাঁর।
এখন দেখার যে, মহাপ্রভুর চরিত্রে যীশু সেনগুপ্তর জায়গায় নিজেকে কতটা ফুটিয়ে তুলতে পারেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। যদিও বা দর্শকের মধ্যে নিজের চরিত্রের বদল ঘটাতে চান অভিনেতা।