‘নাম পাল্টায় ঠিকই, তবে সম্পর্ক পাল্টায় নাকি!’ ‘আগে যেমন বদলেছিল, আবার একটা অন্য জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।’ বন্ধুত্ব থেকে বিবাহ আর এখন ভিন্ন অধ্যায়, দাম্পত্য ভাঙলেও সম্পর্কের সংজ্ঞা নিয়ে প্রান্তিকের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি!

টলিপাড়ার দুই পরিচিত মুখ ‘অঙ্কিতা চক্রবর্তী’ (Ankita Chakraborty) এবং ‘প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর (Prantik Banerjee) দাম্পত্যে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে কিছুদিন ধরেই। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব তারপরে প্রেম, অবশেষে ২০২২ সালে পাহাড়ের বুকে ছোট্ট অনুষ্ঠান করে দু’জন সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন। তাঁদের বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্কের পথচলার সাক্ষী থাকা বহু মানুষের কাছে একটা রূপকথার মতোই মনে হয়েছিল। কিন্তু তিন বছরের মাথায় সেই সম্পর্ক ভাঙতে বসেছে! এটাই বাস্তব, আর সেই বাস্তবকে লুকোনোর কোনও চেষ্টা করছেন না প্রান্তিক।

সম্পর্কের এই বদল নিয়ে অভিনেতার মনোভাব বেশ খোলামেলা। তিনি মনে করেন, যেকোনও সম্পর্ক নাম পেলে একধরনের দায়িত্ব তৈরি হয় আর সেই দায়িত্বই কখনও কখনও মানুষের অবস্থান বদলে দেয়। পরিচয়ের বদল যেভাবে সম্পর্ককে অন্যদিকে টেনে নিয়ে যায়, তা তিনি নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করেছেন। কারওকে আগে শুধুই বন্ধু মনে হলেও, আচমকা নতুন কোনও পরিচয় পেলে সেই সম্পর্কের মানেই বদলে যায়। অন্যান্যদের ক্ষেত্রে, সেই নতুন সম্পর্কটাকে দেখার ধরনটাই পাল্টে যায়।

অঙ্কিতার সঙ্গে বহুদিনের পরিচয়ের পরে বিবাহ এবং এখন এই ভিন্ন অবস্থান, এই তিন অধ্যায়কে তিনি স্বাভাবিক বিবর্তন হিসেবেই দেখছেন। প্রান্তিকের মতে, পরিচয় পাল্টালেই সম্পর্কের আসল ভিত্তি মুছে যায় না! বরং মানুষদের আগের মতোই মূল্য দেয়া যায়, শুধু অবস্থানটা ভিন্ন হয়। তাঁদের দু’জনের ক্ষেত্রেও সেই জায়গাটাই এখন প্রধান। ভবিষ্যতের জন্য ভিন্ন পথচলা বেছে নিলেও, সম্মান এবং সম্পর্কের ভিত্তি আগের মতোই রয়ে যাবে।

বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে প্রান্তিক কোনওরকম আড়াল না করে সরাসরি বলেছেন, ‘প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো কিছু যখন আছে, তখন তা বলতেই হবে। লুকিয়ে রাখার মতো কিছু নেই।’ অঙ্কিতা টলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে বহু বছর আগেই বলিউডে নিজের জায়গা পাকা করেছেন। এদিকে, পেশাগত ক্ষেত্রে প্রান্তিকও এগিয়ে চলছেন নিজের মতো। খুব শিগগিরই তাঁকে দেখা যাবে ‘রাপ্পা রায় ফুল স্টপ ডট কম’ ছবিতে। এই মুহূর্তে তাই তিনি চান, বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ ছাড়াও তার কাজ নিয়ে কথা বলুক মানুষজন।

আরও পড়ুনঃ ‘এটা কি ব্রিটিশ শাসন চলছে নাকি, কীসের বিপ্লবী?’ ‘সবটা যদি আগেই জানত, এতদিন আবেগের নামে স্বতন্ত্র কি নাটক করছিল!’ বিপ্লবী স্বামীকে নিয়ে পার্বতীর প্রত্যাবর্তন, ‘চিরসখা’য় অবাস্তব গল্পের মোড় নিয়ে বিরক্ত দর্শক!

সামগ্রিকভাবে তাঁর বক্তব্যে দাম্পত্য বদলের আক্ষেপের চেয়ে বেশি ছিল সম্পর্ককে নতুনভাবে দেখার চেষ্টা। কোনও সম্পর্ক ভেঙে গেলে যে তার পিছনে সব সময় তৃতীয় ব্যক্তি থাকবে বা মানুষ পুরোপুরি বদলে যাবে, এমনটা তিনি মানেন না। বরং সময়ের সঙ্গে যে নাম, পরিচয় এবং অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে আর সেটাকেই তিনি স্বাভাবিক বলে মনে করেন। তাই বিচ্ছেদ হলেও তাঁদের সম্পর্কের ভিত্তি একেবারে মুছে যাচ্ছে না, শুধু এক নতুন জায়গায় এসে থেমে আবার শুরু হচ্ছে অন্যরকমভাবে।