বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ প্রতীক সেন আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। ‘খোকাবাবু’, ‘মোহর’, ‘এক্কা দোক্কা’-র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শকের ঘরের মানুষ হয়ে ওঠা এই অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরেই টলিপাড়ায় নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিত্ব, স্পষ্ট বক্তব্য ও জীবনদর্শনও বহুবার নজর কেড়েছে দর্শকদের।
২০২৩ সালে ‘এক্কা দোক্কা’ শেষ হওয়ার পর প্রতীককে দেখা গিয়েছিল ‘উড়ান’ ধারাবাহিকে। সেখানে তাঁর বিপরীতে ছিলেন নতুন অভিনেত্রী রত্নপ্রিয়া দাস। সেই কাজ শেষ হওয়ার পর কিছুটা বিরতি নিয়েই তিনি ফিরেছেন নতুন চরিত্রে। বর্তমানে জি বাংলার নতুন সিরিয়াল ‘আমাদের দাদামণি’-তে ‘দাদামণি’ চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রতীক সেন। এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে প্রথমবার জি বাংলায় মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁকে, আর তাঁর বিপরীতে রয়েছেন অনুষ্কা চক্রবর্তী।
কাজের পাশাপাশি প্রতীকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চা কম নয়। বিশেষ করে অভিনেত্রী সোনামণি সাহার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন বহুদিন ধরেই টলিপাড়ায় আলোচিত। ‘মোহর’ ও ‘এক্কা দোক্কা’-তে একসঙ্গে কাজ করার সময় থেকেই তাঁদের ঘনিষ্ঠতা নজরে পড়ে দর্শকদের। এছাড়াও, গত ডিসেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত্যুকে ঘিরে প্রতীকের একটি আবেগঘন পোস্ট ভক্তদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল, যা নিয়ে পরে নানা আলোচনা হয়।
এই সবের মাঝেই সম্প্রতি সাফল্য নিয়ে নিজের স্পষ্ট মতামত জানিয়েছেন প্রতীক সেন। অভিনেতার কথায়, সাফল্যের কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা হয় না। জীবনে সাফল্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে পারে এবং তার পথও একেক জনের জন্য একেক রকম। কারও কাছে ব্যবসা করাই সাফল্য, আবার কেউ পড়াশোনা করেও জীবনে তেমন জায়গায় পৌঁছতে পারেন না।
আরও পড়ুনঃ “নিজের বাস্তব বিয়েতেও এমন জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন ছিল না…”- চিরদিনই তুমি যে আমার ধারাবাহিকে বিয়ের আবহেই নিজের বাস্তব জীবনে স্মৃতিচারণ করলেন জিতু কমল! মনে পড়ছে বিয়ের কথা? ধারাবাহিকের মণ্ডপ থেকে কী জানালেন পর্দার আর্য?
প্রতীকের মতে, “কেউ মুদির দোকান চালিয়েও সফল হতে পারে। আবার কেউ প্রচুর পড়াশোনা করেও সাফল্য পায় না।” তাঁর এই বক্তব্যে জীবনের বাস্তব চিত্রটাই উঠে এসেছে। অভিনয় জগতে নিজে লড়াই করে জায়গা তৈরি করা এই অভিনেতার কথায়, সাফল্য মানে শুধু খ্যাতি বা অর্থ নয়, নিজের কাজে সন্তুষ্ট থাকাটাই আসল।






