গান চুরি শুধু রূপঙ্কর বাগচী করেননি, কবিগুরুও একই দোষে দোষী!বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত চুরি করে বানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর!

‘who is kk’ সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করে বিতর্কে পড়েছিলেন সংগীত শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। সেই ঘটনার পর এবার তাঁর বিরুদ্ধে গান চুরির অভিযোগ তুলে থানায় গেছেন ইউটিবার ও গায়িকা মনোরমা ঘোষাল। নিউটাউন থানায় রূপঙ্কর বাগচী এবং কম্পোজার পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন মনোরমা।

গায়িকা মনোরমা ঘোষাল নিজের ‘সাগর তুমি’ গানটি ছ’মাস আগে ইউটিউবে ছাড়েন। জুনের শেষের দিকে গানটি ট্রেন্ডিংয়ে আসতে থাকলে তিনি নিজের চ্যানেলে গানটি চালাতে গিয়ে দেখেন স্ট্রাইক এসেছে। তারপরই দেখেন রূপঙ্কর বাগচী সেই গানটি গেয়ে ইউটিউবে দিয়েছেন। তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে গান চুরির ঘটনা নতুন নয়, এর আগে বহু শিল্পীর বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ উঠেছে।

তবে শুধু রূপঙ্কর নয় গান চুরি করেছেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও। বাঙালি জাতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে বহু চর্চা করেন, গান শোনেন এবং নিজে গেয়ে থাকেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, কবিগুরুর বাইশ শ’ গানের মধ্যে অনেক গান আছে, যেগুলো রবি ঠাকুরের নিজের মৌলিক গান নয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি অনেক গানের সুর চুরি করে নকল করেছেন অথবা অন্য সুর ভেঙেচুরে তিনি নিজের মতো করে নিয়ে গান বানিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক গানের সুর নেওয়া হয়েছে বিদেশী সুর থেকে অথবা লোকসংগীত বা বাউল সুর থেকে।

এমনকি জানা যাচ্ছে, বিশ্বকবি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতটি নাকি চুরি করেই বানিয়েছেন। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি নাকি তিনি গগন হরকরার সুর চুরি করে বানিয়েছেন। গগন হরকরারের ‘আমি কোথায় পাবো তারে’ গানটি শুনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওই গানটির সুর দিয়েছিলেন।