দিদি নং ওয়ানের মঞ্চে ঝরঝর করে ‘প্রিয় বন্ধুর’ জন্য কেঁদে ফেললেন রচনা ব্যানার্জি! কাঁধে হাত রাখলেন প্রসেনজিৎ, দিলেন সহানুভূতি
বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় গেম শো হলো দিদি নাম্বার ওয়ান। অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সঞ্চালনায় এই শো আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শকদের মধ্যে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একই রকম জনপ্রিয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। সাধারণ দিদিদের পাশাপাশি তারকারাও এসে হাজির হন এখানে।
মূলত দিদিদের সংগ্রামের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয় এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। তার সঙ্গে থাকে কিছু বিশেষ পর্ব এবং বিশেষ খেলা। মঙ্গলবার সম্প্রচারিত হয়েছে অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ পর্ব। এই পর্বটি আয়োজন করা হয়েছিল বাবাদেরকে কেন্দ্র করে।
অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সম্প্রতি নিজের বাবাকে হারিয়েছেন। সেই শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। জীবনের প্রত্যেক ধাপে পাশে পেয়েছেন নিজের বাবাকে। অন্যদিকে সম্প্রতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দিতিপ্রিয়া রায়ের একটি সিনেমা আসতে চলেছে যার নাম আয় খুকু আয়। বাবা মেয়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে এর গল্প তৈরি করা হয়েছে। তাই সিনেমার প্রচারে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন বুম্বাদা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসেনজিতের সঙ্গে কাজের সূত্রেই রচনার বহুদিনের সম্পর্ক। একসঙ্গে দুজনে মিলে বহু সিনেমা উপহার দিয়েছেন বাঙালি দর্শকদের। তাই দুজনকে একই সঙ্গে একই মঞ্চে পেয়ে দর্শকরা আপ্লুত হয়ে পড়েছিল।
এই মঞ্চে বুম্বাদা রচনাকে নিজের বাবার সম্পর্কে কিছু বলতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু এর পর যা ঘটে, তাতে চোখে জল আসতে বাধ্য। যিনি সকলকে শক্ত হয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগান, সেই ‘দিদি’ই নিজের কান্না ধরে রাখতে পারলেন না।
মঞ্চের মধ্যে প্রকাশ্যে কেঁদে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। বহু দিনের বন্ধু-সহকর্মীর কাঁধে হাত রেখে তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন প্রসেনজিৎ। তিনিই অভিনেত্রীর চোখের জল মুছে দিয়েছেন। নায়িকা নিজেকে শক্ত করে বলেন তাঁর কাছে তাঁর বাবা সব কিছু ছিলেন।
দীর্ঘ দিন যখন তিনি হায়দরাবাদে কাজ করেছেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে গিয়েছিলেন বাবা। মেয়ের দেখাশোনা এবং মেয়েকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এসব কিছু বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন রচনা।