রাখিবন্ধনে রাজ-শুভশ্রীর ঘরে খুশির হাওয়া! ছোট্ট বোন ইয়ালিনির হাতের রাখি পরেই, দাদা ইউভান আনন্দে আত্মহারা! এই বিশেষ দিনে, বোনের জন্য দাদা এনেছিল কী উপহার?

টলিউড পরিচালক ‘রাজ চক্রবর্তী’ (Raj Chakraborty) আর শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Shubhashree Ganguly) পরিবারে শনিবার ছিল আনন্দ আর ভালোবাসায় ভরা এক স্মরণীয় দিন। রাখিবন্ধনের (Raksha Bandhan 2025) এই বিশেষ দিনে রাজের ছোট্ট মেয়ে ‘ইয়ালিনি’ (Yaalini) নিজের দাদা ইউভানের (Yuvaan) হাতে বাঁধল রাখি। বোনের হাতের সেই রাখি পরে ইউভানের চোখেমুখে ছিল আলাদাই খুশি।

ভাই-বোনের সম্পর্কের মতোই, রাখি বাঁধার পর ইউভানও ভুলল না নিজের দায়িত্ব। আদরে ভরিয়ে দিল ছোট্ট বোনকে, সঙ্গে দিল পছন্দের উপহার— প্রিয় খেলনার বল। আসলে রাজ-শুভশ্রীর বাড়িতে এই আনন্দের আবহ তৈরি হয়েছিল আগের দিন থেকেই। শুক্রবার ছিল শুভশ্রী অভিনীত ‘গৃহপ্রবেশ’ ছবির সাফল্যের হাফ সেঞ্চুরি পূর্তি। সেই উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল ঘরোয়া পার্টির। শুক্রবারের পার্টি ছিল শুধুমাত্র কাজের মানুষ এই ছবির টিমকে নিয়ে।

 

আর শনিবার পুরো পরিবার মিলে পালন করল রাখিবন্ধন। ইয়ালিনি তো বটেই, ইউভানের আরও তিন বোন সেদিন রাখি বেঁধেছিল তার হাতে। ছোট্ট ভাইও নাকি প্রত্যেক বোনকে দিয়েছিল সুগন্ধি উপহার। রাজের মতে, উৎসব মানেই পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া। তাই রাজের নিজের বোনেরাও এসেছিলেন, এই দিনে ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে তাঁরা উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন। এরপরে এল ইউভানের পালা, কেমন সাজলো সে?

যদিও পাঞ্জাবি-পাজামা পরে উদযাপন করার ইচ্ছে রাজের, কিন্তু ইউভান বেশি স্বচ্ছন্দ প্যান্ট-শার্টে। রাজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছোট্ট দাদার সাজ তাই ছিল একেবারে ক্যাজুয়াল, আর বোন ইয়ালিনিকে সাজানো হয়েছিল মা শুভশ্রীর পছন্দের সুন্দর সালোয়ার-কামিজে। বোন কি দাদাকে উপহার দিয়েছিল? এই প্রশ্নে রাজ হাসতে হাসতে বললেন, “সেটা তো শুভশ্রী ভালো বলতে পারবে! তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত যে দাদার কাছ থেকে খেলনার বল পেয়ে ইয়ালিনির খুশির সীমা ছিল না।”

আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে ফের আ’গুন জ্ব’ল’ছে রাজ্যে! এক বছর পেরিয়েও ন্যায় মেলেনি— ক্ষোভে কিঞ্জল, বাদশা, বিদীপ্তা, শ্রীলেখারা! তিলোত্তমার বিচার নেই, এদিকে আবার দুর্গোৎসব আসন্ন! বিনোদন জগতে ক্ষোভের ঝড়, কি বলছেন সকলে?

পরিচালকের কথায়, তার স্ত্রীও সব সময় পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষকে নিয়ে উদযাপন করতে ভালোবাসেন। শেষ বলতেই হয়, রাজ-শুভশ্রীর পরিবারের এই আনন্দঘন মুহূর্ত প্রমাণ করেছে, যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, প্রিয়জনের সঙ্গে উৎসব পালন করার আনন্দের বিকল্প কিছু হয় না। কাজের চাপ আর পেশাগত দায়িত্বের মাঝেও তারা যেভাবে পরিবারকে সময় দেন, সেটাই তাঁদের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শক্তি, এই রাখিবন্ধনও আরেকটা সুন্দর অধ্যায় হয়ে রইল।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।