‘মধুবনীর উপর বিশ্বাস এতটাই স্ট্রং যে কখনো ফোন ঘেঁটে দেখতে হয়নি’,অকপট জানালেন রাজা গোস্বামী!

তাদের দুজনের যাত্রা শুরু ‘ভালোবাসা ডট কম’-এর মধ্যে দিয়ে। সেই ধারাবাহিকই কখন যে তাদের দুজনকে কাছাকাছি এনে দিয়েছিল, টেরও পায়নি কেউ। পর্দার এই ওম-তোড়া আজ বাস্তব জীবনে ছোট্ট কেশবের মা-বাবা। মাঝের এই বারো বছরে রাজা ও মধুবনীর সম্পর্কের সমীকরণ কোনওভাবে কী পালটেছে? এক সংবাদমাধ্যমে নিজেই জানালেন রাজা গোস্বামী।

বর্তমানে স্টার জলসার ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে রূপাঞ্জনের চরিত্রে অভিনয় করছেন রাজা। প্রথমবার কোনও কমেডি চরিত্রে অভিনয় করে বেশ মজা পাচ্ছেন তিনি। তাই সেই চরিত্রকে ভালোভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা তাঁর। সেটাই করে চলেছেন তিনি।

‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আত্মার সম্পর্ক। বাস্তবে একে অপরের সঙ্গে ঠিক কেমন সম্পর্ক তাদের? রাজার কথায়, বাস্তবেও তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। আর সেটাই পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন তারা। রাজার কথায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাঁর ও মধুবনীর সন্তানের জন্ম হয়েছে। সেই সময়টা তাঁর সেটের সকলে তাঁকে খুব সাবধানে রাখতেন। তাঁর কথা ভেবে নিজেরাও অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করেছেন সেই সময়।

Madhubani Goswami

‘ভালোবাসা ডট কম’-এর ওম ও ‘খড়কুটো’-র রূপাঞ্জন, দুটো সম্পূর্ণ আলাদা চরিত্র। তবে এই দুই চরিত্রই রাজার ভীষণ কাছে। তাঁর কথায়, “ওম আমার প্রথম বড় চরিত্র এবং সিরিয়াস ছেলে। ‘রূপাঞ্জন’ প্রথম আদ্যন্ত কমেডি চরিত্র। পাশের বাড়ির হাসিখুশি, আমুদে ছেলের মতো। কিন্তু দু’জনেই আমার খুব কাছের। এই দুটো চরিত্র আমায় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় করেছে। তবে আমায় আর মধুবনীকে কিন্তু এখনও মানুষ ‘ওম’ আর ‘তোড়া’ বলেই চেনে”।

‘ভালোবাসা ডট কম’ই কী তাহলে রাজা ও মধুবনীর প্রেমের অনুঘটক? রাজার কথায়, “আলাপ তো ওখানেই। ভাল লাগাও। তার পরে একসঙ্গে দীর্ঘ দিন স্টেজ শো, যাত্রা সবই করেছি। তবে প্রোপোজ কিন্তু মধুবনী করেছিল! এক শীতের রাতে মেদিনীপুরে যাত্রা করে ফিরছিলাম আমরা। হাইওয়েতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রুটি-তরকা খেতে খেতে মধুবনী বলল, ও আমায় ভালবাসে। আমিও তো পছন্দই করতাম। আগে বলা হয়ে ওঠেনি”।

Madhubani Goswami

এদিনের এই আলাপচারিতায় রাজা এও জানান যে গত বারো বছরে তাঁর ও মধুবনীর মধ্যে সম্পর্ক কিছু পাল্টায়নি। বরং বিশ্বাস আরও বেড়েছে। অভিনেতার কথায়, “বারো বছরে একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস এতটুকু টাল খায়নি। স্বামী-স্ত্রী অনেক সময়েই শুনি একে অন্যকে সন্দেহ করে। সেখানে আমাদের মধ্যে সন্দেহ দূরে থাক, একে অন্যের ফোন ঘেঁটে দেখার কথাও মাথায় আসেনি কখনও। তবে হ্যাঁ, মধুবনী খানিক বদলেছে বটে। আগে কোনও কিছুতেই মাথা ঘামাত না তেমন। কিন্তু মা হওয়ার পরে ইদানীং দেখি সব দিকে ওর নজর বেড়েছে। আগের চেয়ে সাবধানও হয়েছে অনেক”।

You cannot copy content of this page