নস্টালজিয়া উস্কিয়ে আবারও বড় পর্দায় ফিরলেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। ‘অপরাজেয়’ সিনেমার শুরু থেকে শেষ একটাই নাম, তিনি শুভঙ্কর সান্যাল ওরফে রঞ্জিত মল্লিক। অঞ্জন চৌধুরী এই চরিত্রটিকে ভয়ঙ্কর সান্যাল বলে অভিহিত করেছিলেন। আর এবার সেই একই প্রতিবাদী ভাবমূর্তি নিয়ে আবারও পর্দায় ফেললেন রঞ্জিত মল্লিক
বাংলা সিনেমার গর্ব রঞ্জিত মল্লিকের মধ্যে আবারও সেই চেনা মেজাজ ধরা দিল। অভিনেতা বলেন মানুষের সব কিছু করা উচিত জীবনে। কাজ, আনন্দ, আর সেই সবকিছুর মধ্যে যদি কেউ বাধা দেয় তাহলে উচিত প্রতিবাদের। তিনি বলেন আমি চাই সবাই সুখে, শান্তিতে ভালো থাকুক।
অভিনেতার কথায়, একা শুধুমাত্র পুলিশ প্রতিবাদ করবে এমনটা নয়। প্রতিবাদটা হতে হবে সব ক্ষেত্রেই। সব মানুষকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই অন্যায়ের প্রবণতা কমবে। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে এই বয়সেও রীতিমতো পর্দা কাঁপিয়ে দিলেন তিনি। বলা যায় এই সিনেমা শুধুমাত্র তাঁর জন্যই দেখা যায়। বলতে পারেন রঞ্জিত মল্লিক কামব্যাক ফিল্ম এটি।
এই সিনেমার মূল কাহিনী কেন্দ্রীভূত হয়েছে শুভঙ্কর সান্যালকে ঘিরে। বাকি চরিত্রগুলি পার্শ্ব চরিত্র হিসেবেই থেকে গেছে। সমস্ত আকর্ষণটাই রঞ্জিত মল্লিককে ঘিরে। দুই প্রবাসী ছেলে নিজের বাবা-মায়ের একটুও খেয়াল রাখেনা। নিজেদের সুখ আরাম নিয়েই মগ্ন। আর সেই নিয়েই লড়াই। এটি বলা যায় একটি কোর্ট রুম ড্রামা।
পর্দার মতো কিন্তু বেশ প্রতিবাদী রঞ্জিত মল্লিক। কোনদিন অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি তিনি। ঐতিহ্যশালী বনেদি পরিবারের এই ছেলে সদাই নিজের ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্যায়কে বরদাস্ত করেননি।
তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ নিয়ে তাঁর কী মত? প্রশ্ন করেছিলেন প্রশ্নকর্তা! অভিনেতার কথায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা খবরের ছড়াছড়ি। তিনি বলেন আমাকে এই সোশ্যাল মিডিয়া সাত বার মেরেছে। এতে আমার কিছু হয় না কিন্তু আমার পারিপার্শ্বিক মানুষগুলো চিন্তায় পড়ে যান, প্রভাবিত হন। এবার সোশ্যাল মাধ্যমে মিথ্যে খবরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী রঞ্জিত মল্লিক।