ছেলের জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে আ’গু’নে ঝ’ল’সে গিয়েছিলেন! মা মহুয়া রায়চৌধুরীর মৃ’ত্যু’র পর কেমন আছেন তাঁর একমাত্র ছেলে গোলা?

বাংলা চলচিত্র জগতের সবচেয়ে বেশি সুন্দরি অভিনেত্রী ছিলেন মহুয়া রায়চৌধুরী।(Mohua Roy Chowdhury) মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন মহুয়া। মাত্র ৭ বছর বয়সে পাড়ার এক জলসায় তিনি সুচিত্রা সেন,(Suchitra Sen) হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, (Hemanta Mukherjee) শ্যামল মিত্র,(Shyamal Mitra) সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়দের(Sandhya Mukherjee) মতো গুণী শিল্পীদের সামনে নৃত্য পরিবেশনা করেছিলেন।

পরিচালক তরুণ মজুমদারের(Tarun Majumdar) নজরে পড়ে ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’(Shriman Prithviraj) এর নায়িকা হয়ে উঠেছিলেন মহুয়া। তাঁর প্রথম ছবির পর ‘দাদার কীর্তি’তে (Dadar Kirti) পান অভিনয়ের সুযোগ। ব্যাস, এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মহুয়াকে। প্রায় ৯০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন: টান টান উত্তেজনা ‘লাভ, বিয়ে, আজকাল’-এ! মাস্কম্যানকে হাতেনাতে পাকড়াও করল ওম-শ্রাবণ

যখন সদ্য ডানা মেলতে শুরু করেছে মহুয়ার অভিনয় জীবন, তখনই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। প্রেমিক তিলক চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল বেশ কিছু বছরের। ১৯৭৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে পরিবারের অমতে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন মহুয়া৷ বাংলা ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করা তিলক পরবর্তীকালে চাকরি করতেন একটি ব্যাঙ্কে। এছাড়াও, কিশোরকণ্ঠী হয়ে গানও গাইতেন বিভিন্ন মঞ্চে৷

বিয়ের পরের বছর নিজের জন্মদিনেই একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মহুয়া। গোঁড়া ইস্টবেঙ্গল ভক্ত মহুয়া, ছেলের ডাক নাম রেখেছিলেন ‘গোলা’৷ ভাল নাম ‘তমাল’৷ ঠিক তারপর থেকেই তিক্ততা ঘিরে ধরে মহুয়া ও তিলকের সম্পর্কে। শোনা যায়, সাংসারিক অ’শা’ন্তি’র জেরে নাকি, অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী। আ’ত্ম’হ’ত্যা’র চেষ্টাও নাকি করেছিলেন বহুবার। শোনা যায়, সু’রা’স’ক্তও হয়ে পড়েছিলেন মহুয়া ৷ অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ার কিছুদিনের মা’রা যান তিনি। এক পার্টি থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীরের ছেলের জন্য দুধ গরম করতে গিয়েই স্টোভ ফেটে ঝ’ল’সে গিয়েছিল তাঁর শরীর।

Bengali cinema

 

হাসপাতালে মা’রা যাওয়ার আগে তাঁর শেষ বাক্য ছিল “গোলাকে রেখে গেলাম, তোমরা দেখো।” তবে, গোলাকে দেখেনি ইন্ডাস্ট্রির কেউই, দেখেছেন একমাত্র তাঁর বাবা। তিলক পরে আর কখনও বিয়েও করেননি। ছেলেকে নিয়েই সামনের পথ হেঁটেছিলেন তিনি। ‘হেঁটেছিলেন’ বললাম কারণ, তিলক চক্রবর্তী আজ প্রয়াত। পরিবার বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই তমালের। সেদিনের ছোট্ট তমাল আজ মিউজিক অ্যারেঞ্জার। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কলকাতা ও বম্বেতে। মায়ের মৃ’ত্যু’র পর থেকে আর কোনওদিন নিজের জন্মদিন পালন করেননি তমাল।