“সনাতন জ্বলাতন করে মারে রোজ!” হিন্দু ধর্মকে কটাক্ষ অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর! ‘কাশ্মীরে ওই মানুষগুলোর জায়গায় আপনি থাকলে বোধহয় ভালো হত’, তীব্র কটাক্ষ নেটপাড়ার

কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে (Kashmir Pahalgam Bloodshed) সম্প্রতি ভয়াবহ হা’মলা’য়, মুসলিম কিছু জ’ঙ্গি’দের দ্বারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে করে হিন্দু ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে রীতিমতো চিহ্নিত করে গু’লি চালানো হয়, যাতে একাধিক নিরীহ মানুষ যারা ভ্রমণের জন্য গিয়েছিলেন তারাই বেঘোরে প্রাণ হারালেন। এই বর্বর ঘটনার বিরুদ্ধে যখন গোটা দেশে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে, তখন কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর নির্লিপ্ততা প্রশ্ন তুলছে সর্বধর্ম সমন্বয় মেনে চলতে।

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হিন্দুদের চিহ্নিত করে আততায়ীরা র’ক্তা’ক্ত করার পর থেকে গোটা দেশ স্তব্ধ। তখন একজন সাংবাদিক প্রতিবাদ করতেই, ঋত্বিক বরং তাঁকেই হেয় করে বসে রইলেন! এরপর আবার গতকাল নিজের ফেসবুকে পোস্ট করলেন শিলাজিতের গান তুলে— “সনাতন জ্বলাতন করে মারে রোজ”। এরপরেই নেটিজেনদের এতোদিনের জমে থাকা ক্ষোভ বেরিয়ে আসে। এতদিন যেটাকে নিছকই ব্যক্তিগত মত প্রকাশ হিসাবে ভাবছিলেন দর্শক, এবার সেটাই ধর্মীয় আঘাতে পরিণত হলো।

“অভিনেতা হিসাবে আপনি হয়তো অভিনয়ের ‘রোল’ পান না, তাই ফেসবুকে ‘রোল প্লে’ করছেন, কিন্তু হিন্দু হয়ে হিন্দু ধর্মকে এমন ভর্ৎসনা! এ আবার কোন ধরনের মুক্তচিন্তা?”— প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। আবার কেউ বলছেন, “আপনি যে একসময় ‘অন্যরকম’ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন, সে কথা ভুলিনি আমরা।” অনেকে আবার সরাসরি কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি, “আজ আপনি যে ‘সস্তা বুদ্ধিজীবি’ সাজতে গিয়ে ফেসবুকে গাধার নাম দিয়ে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষকে কটাক্ষ করছেন,

আর হিন্দুদের বেদনাকে নিয়ে মজা করছেন, তাতে আপনার মানসিক দেউলিয়াত্বটা পরিষ্কার।” এইসব থেকে একদম পরিষ্কার যে, একদিকে অভিনেতা হিসেবে ধ্বসে যাওয়া কেরিয়ার , আর অন্যদিকে রাজনীতির গন্ধে “সেক্যুলারিজম” নামক ফুলের মালা বুনে নিজেকে “উঁচু চিন্তার মানুষ” প্রমাণ করতে মরিয়া! যিনি হিন্দু হয়ে হিন্দু নিধনের প্রতিবাদে এক লাইন লিখলেন না, তিনিই আবার হিন্দু ধর্মের নাম নিয়ে হাস্যরস করছেন। প্রশ্ন উঠছে— এই বুদ্ধিদীপ্ত ঠাট্টার পেছনে উদ্দেশ্যটা কী?

নিজের কেরিয়ার বাঁচানো, না কোনো রাজনৈতিক পক্ষকে খুশি করা? কেউ কেউ এই উত্তর খুঁজতে গিয়ে বলেছেন, “আপনাকে দেখে যেন মনে হচ্ছে, এখনকার কিছু অভিনেতা মুখে সেক্যুলারিজম আউড়ালেও, মনেপ্রাণে ক্ষমতার গোলাম।” “ঋত্বিকবাবু, আপনার সিনেমা আর না চলুক, সমস্যা নেই। কিন্তু ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে ট্রোল করে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা আপনাকে আরও হাস্যকর করে তুলছে।” এর আগে সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জনের নাম বিকৃত করে কটাক্ষ করে ঋত্বিক যেটাকে ভেবেছিলেন ‘বুদ্ধিদীপ্ত ট্রোল’,

আরও পড়ুনঃ এখন সব ইগোর লড়াই, কেউ ন্যূনতম অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করে না! আর সেই জন্যই এত তাড়াতাড়ি ভেঙে যাচ্ছে সম্পর্ক! বর্তমান সময়ে দাম্পত্য ভাঙনের কারণ বললেন অঞ্জনা বসু!

সেটাই এবার ধর্মকে চিহ্নিত করে কটাক্ষের প্রতিবাদে বিরুদ্ধ তীর হয়ে ফিরে এসেছে তাঁরই দিকে। কারণ মানুষ একটু হলেও এখন বুঝতে পারে, ফেসবুকে হিপোক্রিসি ছড়ানো আর প্রকৃত প্রতিবাদে দাঁড়ানো এক জিনিস নয়। যেখানে অরিজিৎ সিং আর শ্রেয়া ঘোষালের মতন উচ্চমানের শিল্পীরা এই ঘটনায় মর্মাহত এবং নিজেদের শো বাতিল করে দিয়েছেন প্রতিবাদে, সেখানে এমন নিম্ন রুচির মন্তব্যে নিজে ধর্মকে কটাক্ষ করা কে মানুষ দেশদ্রোহিতা মনে করছেন।