টলিউডের পর্দায় যাঁর হাসি মন কেড়েছে দর্শকের, বাস্তব জীবনে সেই রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে এখন যন্ত্রণার ছায়া। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভেঙে পড়ার কাহিনি যেন ঠিক যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। বিগত কয়েক মাস ধরে স্বামী-পরিচালক অরিন্দম চক্রবর্তীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহে জড়িয়ে পড়েছেন রিয়া। এই মুহূর্তে তাঁদের পারস্পরিক অভিযোগে মুখর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে টলিউড মহল—চারিদিকে জল্পনার ঢেউ।
কিছুদিন আগেই এক ফেসবুক লাইভে রিয়া দাবি করেন, তাঁর স্বামী অরিন্দম নিজেই বাড়িতে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সহবাস করছেন। শুধু তাই নয়, তিনি গত তিন বছর ধরে মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী। এর জেরে রিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে তাতেও দমে যাননি তিনি। জানান, তিনিও আইনি পথে পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
রিয়ার অভিযোগের পরেই পাল্টা লাইভে মুখ খোলেন অরিন্দম চক্রবর্তী। তিনি রিয়ার সব দাবি খণ্ডন করে বলেন, যদি স্ত্রী প্রমাণ করতে পারেন তিনি অন্য মহিলার সঙ্গে সহবাস করছেন, তাহলে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দেবেন। আরও একধাপ এগিয়ে, অরিন্দম দাবি করেন, রিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর মাকে অসুস্থ করেছেন এবং পাড়ার সামনেই তাঁর বাবার ওপর চড়াও হয়েছেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে অরিন্দম বলেন, তিনি প্রতি মাসে রিয়াকে ৭০ হাজার টাকা দেন, তবু রিয়া আরও ৬০ হাজার টাকার খোরপোষ দাবি করছেন, যা তিনি মেনে নিতে নারাজ।
অরিন্দমের বক্তব্য সামনে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রিয়া ফের লাইভে এসে তাঁর দেওয়া ৭০ হাজার টাকার খরচের বিস্তারিত হিসাব দেন। জানান, এই টাকা সম্পূর্ণটাই ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, টিউশন ফি, স্কুলের খরচে ব্যয় হয়। সংসারের অন্যান্য খরচ যেমন ইলেকট্রিক বিল, গ্যাস, পরিচারিকার বেতন—সবটাই তিনি নিজে বহন করেন। নিজের জন্য কোনও খরচ করেন না বলেই দাবি করেন রিয়া।
আরও পড়ুনঃ এক ছবিতেই দেশ কাঁপিয়েছিলেন খুদে তারকা, পরিণতি ছিল নিঃশব্দ আর ম’র্মান্তিক—কাবুলিওয়ালার ‘মিনি’র জীবনের অজানা কাহিনী!
বর্তমানে দুজনেই আইনি পথে এগোচ্ছেন এবং দাবি করছেন, তাঁদের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে যা আদালতে জমা পড়েছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভাঙন এই মুহূর্তে হয়ে উঠেছে জনসমক্ষে আলোচনার বিষয়। টলিপাড়ায় এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—রিয়া না অরিন্দম, কে বলছেন সত্যি? শেষ পর্যন্ত সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে আদালতের রায়ে, আর ততদিন পর্যন্ত এই সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েই সরগরম থাকবে টলিপাড়া।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।