টেলিভিশনের পর্দায় যিনি দর্শকের কাছে চেনা এক হাসিমুখ, তাঁর বাস্তব জীবন যেন ঠিক উলটো। অভিনেত্রী রিয়া গাঙ্গুলী, যাঁকে একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে, তিনি সম্প্রতি আবারো নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অন্ধকার দিকটি সামনে এনেছেন। সম্পর্কের টানাপোড়েন, মানসিক অবসাদ এবং বারংবার প্রতারণার অভিযোগে জর্জরিত রিয়া, এবার যেন আর চুপ করে থাকতে পারলেন না। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন এক তথ্য প্রকাশ করেন যা শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে।
রিয়া গাঙ্গুলী ও পরিচালক অরিন্দম চক্রবর্তীর বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন নতুন নয়। ২০১৩ সালে তাঁদের বিয়ে হলেও, ২০২৩-এ রিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেন, “আজ থেকে ওর সঙ্গে আমার আর কোনও সম্পর্ক নেই।” তিনি বারবার অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্তা করেছেন, অন্য মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন এবং নিজের পরিবারের প্রতিও অবহেলা করেছেন। এমনকি স্বামীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার কথাও জানান রিয়া। তবে তখনও এতটা বিস্ফোরক কোনও মন্তব্য করেননি তিনি, যতটা করেছেন সাম্প্রতিক ইন্টারভিউতে।
সেই সাক্ষাৎকারে রিয়া জানিয়েছেন, “আমার নিজের বেডরুমে, আমারই স্বামী আর এক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিল।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনাগুলো শুধু আমাকে নয়, আমার সন্তানদেরও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।” রিয়ার দাবি, তাঁর সন্তান সেই দৃশ্য নিজের চোখে দেখে ফেলেছিল এবং এরপর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। একজন মায়ের কণ্ঠে স্পষ্ট ছিল অসহায়তা ও ক্ষোভ—একদিকে সম্পর্ক ভাঙার যন্ত্রণা, অন্যদিকে সন্তানদের মানসিক যন্ত্রণার বোঝা।
রিয়া জানান, তিনি প্রথমে চেয়েছিলেন সংসারটা রক্ষা করতে। বহুবার মাফ করেছেন, বুঝিয়েছেন, তবুও স্বামী অরিন্দমের আচরণ বদলায়নি। এমনকি কাজের জায়গায়ও অরিন্দম অসদাচরণ করেছেন বলে অভিযোগ রিয়ার। একাধিক নারীসঙ্গ, দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবহার, আর সর্বোপরি সন্তানের চোখের সামনে এমন ঘটনা—এই সব মিলিয়ে তিনি এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুনঃ টিআরপি তালিকায় নাটকীয় পরিবর্তন! মাঠে নেমেই ‘রাজরাজেশ্বরী রানী ভবানী’ হাঁকালেন ছক্কা! ‘ফুলকি’ আবার ঘুরে দাঁড়ালো, ‘চিরসখা’ ধরে রাখল নিজের জায়গা! ‘পরশুরাম’ বনাম ‘জগদ্ধাত্রী’, কে করল বাজিমাত?
বর্তমানে রিয়া আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চান। তিনি বলেছেন, “আমি আর পারছি না। এখন শুধু চাই, আমার সন্তান যেন স্বাভাবিকভাবে বড় হতে পারে, যেন ওর ছোট মনটাকে আর আঘাত না করে কেউ।” পাশাপাশি তিনি জানান, যদি প্রয়োজনে আইনি সাহায্য নিতে হয়, তাতেও তিনি পিছপা হবেন না। বহুদিন ধরে সহ্য করার পর এবার নিজেকে এবং সন্তানদের জন্য রিয়া নতুন পথে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।