টলিপাড়ায় বহু দম্পতি আছেন, কিন্তু ছোটপর্দা থেকে বাস্তব জুটিতে পরিণত হওয়া ‘রুবেল দাস’ (Rubel Das) এবং ‘শ্বেতা ভট্টাচার্যের’ (Sweta Bhattacharya) সম্পর্কটা যেন আলাদা এক প্রশান্তি দেয়। আলো-ঝলমলে দুনিয়ার বাইরে তাঁদের বন্ধনের টান আরও গভীর। কাজের ব্যস্ততার মাঝে একে অপরকে নিয়ে গর্ব করার মুহূর্তগুলো প্রকাশ পেয়েছে বহুবার। যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের চাপে ব্যক্তিগত অসন্তোষ জমে ওঠা খুব সাধারণ ব্যাপার, সেখানে এই দম্পতির সহজ সম্পর্কই এখন অনেকের নজরে।
ছোটবেলায় নাচের ক্লাস থেকে শুরু হওয়া বন্ধুত্ব, তারপর আলাদা জীবনের ব্যস্ততা, বছরের পর বছর দূরত্ব এবং শেষমেশ ‘যমুনা ঢাকি’র সেটে ফের দেখা। তখন দু’জনেই সম্পর্ক ভাঙার কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই ভাঙাচোরা মুহূর্তেই একে অপরকে নতুন করে পাওয়ার এই গল্পটাই তাঁদের আজকের স্থির সম্পর্কের ভিত্তি। একসময়ের সহপাঠী থেকে আজকের জীবনের সঙ্গী, এই পুরো পথটা তাঁদের নিজের মতো করে, ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন।
তবে, এই দম্পতিও অতীতে বিতর্ক এড়িয়ে চলতে পারেননি, বিশেষ করে শ্বেতা। কখনও ছোট পোশাক নিয়ে মন্তব্য, কখনও তুকতাক বা কালাজাদুর অভিযোগ— সবকিছুর মধ্যেই রুবেল ছিলেন স্ত্রীর পাশে। যে কোনও কঠিন সময় তিনি যেভাবে স্ত্রীর ঢাল হয়ে দাঁড়ান, সেটাই আজ তাঁদের সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত করেছে। আজকের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে যেখানে মানুষ নিজের কাজ বাঁচাতেই ব্যস্ত থাকে, সেখানে নিজের সঙ্গীর পাশে দাঁড়ানোর এই জেদ খুব কম মানুষের মধ্যেই দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, দু’জনেই বরাবর জি বাংলার ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। বর্তমানে সেই চ্যানেলেরই একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের দুই মুখ্য অভিনেতা জিতু এবং দিতিপ্রিয়ার মধ্যে চলমান ঝামেলায় দর্শক থেকে শুরু করে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলও অশান্ত হয়ে পড়েছে। ধারাবাহিকের অভিনেত্রী নাকি জানিয়েছেন তিনি অভিনেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দূরের কথা এক ফ্রেমে অভিনয় করতেও রাজি নয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন অভিনেতা রুবেল। তিনি বলেন, অভিনয় পেশার সবচেয়ে বড় পরীক্ষাগুলির একটি হলো ঘনিষ্ঠ দৃশ্য সামলানো। শ্বেতাকে অন্য অভিনেতার সঙ্গে ওইসব দৃশ্যে দেখলে তাঁর ভিতরে যে হিংসে হয়, তা লুকাতে চান না তিনি। আবার এটাও বললেন যে, সেই অনুভূতিকে তিনি দ্রুত মাথা থেকে সরিয়ে ফেলেন– নিজের মতো করেই সামলে নেন মন। অন্যদিকে, শ্বেতা অবশ্য রুবেলের মতো স্থির নন। নিজের খোলামেলা স্বভাবেই সব অনুভূতি সরাসরি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুনঃ “কি ভেবেছিলেন আমি খুব সস্তা, প্রতিবাদ করতে পারব না?” “আমি তো মরে যায়নি, শিল্পীদের এত ছোট মনে করেন!”– ‘জোয়ার ভাঁটা’য় মৃ’ত মায়ের চরিত্রে বিনা অনুমতিতে ছবি ব্যবহার করায় চরম ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী সাগরিকা রায়!
রুবেলের মতে, ভালোবাসার সম্পর্কগুলোতে হিংসে কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়, বরং সম্পর্কের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই বলা যায়। তাঁর কথায়, পৃথিবীতে এমন দম্পতি নেই যাঁদের মনে সামান্য রক্ষণশীলতা বোধ নেই। বরং এই টান আর যত্ন, সম্পর্ককে আরও বাস্তব করে তোলে। দু’জনের এই আন্তরিকতা এবং খোলামেলা ভাবটাই তাঁদের জুটিকে অনন্য করে তুলেছে। পর্দার রোম্যান্সকে ছাপিয়ে সত্যিকার ভালোবাসা যে পর্দার বাইরেও জন্মায়, রুবেল-শ্বেতা তারই প্রমাণ।






‘পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চালিয়েই যাচ্ছিল, অবসাদ থাকলেই যা খুশি করা যায় না!’ ‘মান’সিকভাবে অ’সুস্থ হলেও সীমা মানতে হয়, লেবুটা এমন কচলাবেন না যাতে তেতো হয়ে যায়!’– ঋজুকে নিয়ে মানসীর স্মৃতিচারণে সামনে এলো নতুন বিতর্ক, বিভিন্ন ম্যাসেজ করে উত্তপ্ত করেছেন অভিনেত্রীর বোনকে!