মুম্বইয়ের সঙ্গে রুক্মিণী মৈত্রের সম্পর্ক বহু বছরের। ছোট থেকেই এই শহর তাঁকে টেনেছে, আর এখন কাজের প্রয়োজনেও সেখানে যাতায়াত করেন বেশি। অনুরাগীদের অভিযোগ, তাঁকে নাকি কলকাতায় কম দেখা যায়। তবে নতুন ছবি হাঁটি হাঁটি পা পা–র প্রচারের জন্য এখন শহরেই রয়েছেন তিনি। এই ছবির গল্প বাবা আর মেয়েকে ঘিরে, তাই প্রচারের মধ্যেই নিজের বাবার স্মৃতি বারবার মনে পড়ছে তাঁর।
রুক্মিণী জানান, ছোটবেলায় বাবা বলতেন পরীক্ষায় ভাল করলে তাঁকে মুম্বই নিয়ে যাবেন এবং মনের মতো জিনিস কিনে দেবেন। তাই মুম্বইয়ে থাকা নিয়ে এত আলোচনা দেখে তিনি অবাক হন। সাম্প্রতিক সময়ে নানা বিষয়ে তাঁর নাম উঠে এসেছে, বিশেষ করে দেবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বা তাঁর কম কাজ করার কারণ নিয়ে। কিন্তু তিনি সবসময়ই বলেছেন, কাজ ছাড়া সমাজমাধ্যমে থাকেন না বলেই এমন ভুল ধারণা তৈরি হয়।
অর্ণব মিদ্যা পরিচালিত ছবিটি বাবা-মেয়ের সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবারাও যে অনেক ক্ষেত্রে শিশু হয়ে যান, সেটাই গল্পের অন্যতম থিম। টিজার দেখে অনেকে পিকুর সঙ্গে তুলনা করলেও রুক্মিণীর মতে ট্রেলর দেখে দর্শকরা বুঝেছেন যে ছবির ভাবনা আলাদা। পরিচালক চেষ্টা করেছেন বাবা-মায়ের অনুভূতি, তাঁদের নীরব যন্ত্রণা এবং প্রয়োজনগুলোকে সামনে আনার।
রুক্মিণী মনে করেন, আমরা অনেক সময় ভুলে যাই যে মা-বাবারাও মানুষ। তাঁদেরও নিজের মতো ইচ্ছে, চাওয়া-পাওয়া থাকে, আর সব কথা তাঁরা সন্তানদের বলতে পারেন না। ২০১৭ সালে বাবাকে হারানোর পর মা-ই তাঁদের পরিবারকে সামলেছেন। রুক্মিণীর সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক এতটাই কাছের যে প্রায় সব কথা শেয়ার করেন তিনি। তবুও অভিনেত্রীর মনে প্রশ্ন জাগে— মায়ের একা লাগলে তাঁর জীবনে নতুন কেউ এলে কি তিনি সেটা সহজে মেনে নিতে পারবেন?
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় স্টার জলসার বড় চমক! আট বছর পর স্টার জলসায় স্বস্তিকার দুরন্ত কামব্যাক! শুরুতেই দ্বিতীয় স্থানে ‘প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি!’ পিছনে ফেলল ‘পরিণীতা’, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’কে!
এ প্রশ্নের উত্তরে রুক্মিণী সৎভাবে বলেন, ক্যামেরার সামনে সবই সহজ, কিন্তু বাস্তব জীবনে মানিয়ে নিতে পারতেন কি না তা সত্যিই জানেন না। দেব প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, বছর শুরু হয়েছিল বিনোদিনী দিয়ে আর শেষ হচ্ছে হাঁটি হাঁটি পা পা দিয়ে, দুটোই জাতীয় পর্যায়ে প্রশংসিত। তাই তিনি ইতিবাচক দিকেই নজর দেন। ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আবারও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন— মুম্বই নয়, কলকাতাতেও নিয়মিত আসেন, তবে কাজ ছাড়া তাঁর বাকিটা সময় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত।






