বর্তমানে টলিপাড়ায় বিচ্ছেদ যখন অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্পর্কের বাঁধনে, ঠিক সেই মুহূর্তে প্রেমের রঙিন বসন্ত যাপন করতে দেখা যায় অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী এবং ঐন্দ্রিলার প্রেম। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সম্পর্ক টলিপাড়ার অন্যতম আলোচনার বিষয়। ঐন্দ্রিলার কঠিন সময়ে এককথায় আগলে রেখেছেন সব্যসাচী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে অনুরাগীদের খবর ভাগ করে নেন অভিনেতা। তাদের প্রতিটা লেখায় বার বার ফুটে উঠেছে তাদের সম্পর্কের গভীরতা। যদিও সব্যসাচী জানিয়েছেন এটাই তার লেখা শেষ চিঠি। লেখার পাতা জুড়ে উঠে এসেছে দুটি মানুষের অদম্য লড়াইয়ের কথা। তার লেখা থেকে জানা যাচ্ছে একটা সময় মায়ের ক্যান্সার যুদ্ধ ছিল মৃত্যুসম কঠিন। সেই মা এখন সরকারী চাকুরে। স্বামীর শক্ত হাত বাঁচিয়ে দেয় সেই স্ত্রীকে, এবং সেই স্ত্রী হলেন ঐন্দ্রিলার মা। আরেকটি লড়াই ঐন্দ্রিলার নিজের। শরীর থেকে অর্ধেক ফুসফুস বাদ, হৃদপিণ্ডের ছাল অর্থাৎ পেরিকার্ডিয়াম এবং ডায়াফ্রামের একাংশ বাদ গিয়েছে। এখনও চলবে কেমো থেরাপি। অথচ মেয়ে এখন সুস্থ। ডাক্তার বলেছেন শরীর থেকে সমস্ত বদ কোষ বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
গত বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডে দিন ঐন্দ্রিলার আবদারে টেবিল বুক করেন তিনি। কিন্তু সেই সেলিব্রেশন আর হয়নি। ক্যান্সারের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে ডিসেম্বর মাস। লড়াই কার্যত শেষ। ওজন বেড়েছে তার, চুল খুবই ছোট, কেমো চললে চুল একেবারেই থাকবে না। নিজের বেচে থাকার অদম্য ইচ্ছা সবকিছুকে হারিয়ে দিয়েছে।