টেলিপাড়ায় যেন বিতর্কের ঝড় থামছেই না। একের পর এক সম্পর্ক ভাঙন, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তুমুল আলোচনা—সব মিলিয়ে নেটিজেনদের চর্চা থামার নাম নিচ্ছে না। কিছুদিন আগেই জিতু-দিতিপ্রিয়ার বিতর্ক ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছিল, তার আগেই খবরের শিরোনামে এসেছিলেন অভিনেত্রী সুস্মিতা রায় ও অভিনেতা-সাংবাদিক সব্যসাচী চক্রবর্তী। তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেওয়ার পর থেকে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।
বিচ্ছেদের পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছেন দু’জনেই। আলাদা থেকেও তাঁরা নিজেদের কাজে ব্যস্ত, ব্যক্তিগত সুখের জায়গা খুঁজে নিচ্ছেন। তবে নেটিজেনদের মন্তব্য থেমে নেই। বিশেষ করে অভিনেত্রী সুস্মিতা রায়কে লক্ষ্য করে একের পর এক কটাক্ষ, বিদ্রূপ চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেবল তাঁকেই নয়, সমালোচনার তীর ছুটছে তাঁর পরিবারের দিকেও। এমনকি, মাকে নিয়েও অশালীন মন্তব্য করছেন অনেকেই।
অভিনেত্রীর মা দীর্ঘ লড়াই করে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। জীবনের নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি মেয়েকে বড় করেছেন, কর্মজগতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ যেন কমছেই না। অনেকে ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কের বিষয় টেনে আঘাত করছেন। এসব দেখে চুপ থাকতে পারলেন না অভিনেত্রী প্রাক্তন স্বামী সব্যসাচী চক্রবর্তী।
সব্যসাচী স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমি শুনছি সুস্মিতার মাকে নিয়ে অনেকেই অনেক খারাপ খারাপ কথা বলছেন। আমি বুঝি না এটার কি দরকার। তাঁর মা নিজের মতো করে স্ট্রাগল করে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন, মেয়েকে মানুষ করেছেন।” শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন—“মেয়ের মা মানেই খারাপ, এই ধারণা ভীষণ অদ্ভুত। আমি খুব স্ট্রিক্টলি মানি, মেয়ের মা মানে খারাপ নয়। আবার ডিভোর্স ছেলেদের জন্যই হয়, ছেলেরাই খারাপ—এই ধারণা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ টলিউডে অভিকার কামব্যাক! রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনায় প্রিয় ‘রানী’ এবার নতুন ভূমিকায়! উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা, আসছে কোন নতুন ধারাবাহিক? জুটি বাঁধবেন কি অর্কপ্রভর সঙ্গেই?
সব্যসাচীর এই বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি ব্যক্তিগত সম্পর্ক শেষ হলেও প্রাক্তন স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে চান। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ধরনের অশালীন মন্তব্য ও ব্যক্তিগত আক্রমণ চলছে, তা বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। অভিনেতার মতে, ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত, কারণ সম্পর্ক ভাঙা মানেই কেউ খারাপ নয়—বরং মানুষের ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি বজায় রাখাটাই সবচেয়ে জরুরি।