‘মা সবসময় চাইত আমি যেন……আমি তখন সেটা বুঝিনি’— জীবনের সেই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আজও ভুগছেন সব্যসাচী চৌধুরী! কি এমন ঘটেছিল অভিনেতার জীবনে?

টেলিভিশনের পর্দায় চরিত্র ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতায় দর্শকমহলের মন জয় করেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকে বামাক্ষ্যাপার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি একেবারে আলাদা পরিচিতি পান। শুধু তাই নয়, প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেও প্রায়শই খবরে উঠে এসেছেন তিনি। পেশাগত দিক থেকে সাফল্য পেলেও ব্যক্তিগত জীবনে নেওয়া এক সিদ্ধান্তের জন্য আজও আফসোস রয়ে গেছে তার মনে।

অভিনয় জগতের ব্যস্ত সূচির মাঝেই এক পডকাস্টে এসে সব্যসাচী খোলাখুলি জানিয়েছিলেন সেই অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, অভিনয়ে আসার পর বারবার তার মা তাকে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। রেল, ব্যাংক বা অন্য যেকোনও সরকারি খাতে চাকরির চেষ্টা করলে তার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হতে পারত—এমনটাই চেয়েছিলেন মা। কিন্তু তরুণ বয়সে অভিনয়ের স্বপ্নে বিভোর সব্যসাচী সে সময় মায়ের কথা শোনেননি।

অভিনেতার কথায়, “মা সবসময় চাইত আমি যেন অন্তত পরীক্ষাটা দি। নির্দিষ্ট একটা আয়ের নিশ্চয়তা থাকত। আমি তখন সেটা বুঝিনি, শুধু অভিনয় নিয়েই বুঁদ হয়ে ছিলাম।” জীবনের এই পর্যায়ে এসে সেই অগ্রাহ্য করার সিদ্ধান্তই আজ তার মনে দাগ কেটেছে। তিনি স্বীকার করেছেন, মাঝে মধ্যে মনে হয় মায়ের কথাই ঠিক ছিল।

তবে আফসোস থাকলেও নিজের সিদ্ধান্তে তিনি আর পরিবর্তন আনেননি। সব্যসাচীর কথায়, “অনেকবার মনে হয়েছে সরকারি চাকরি করলে হয়তো একটা স্থায়ী আয় থাকত। কিন্তু আমি পথ বদলাইনি। শুধু মাকে বলেছিলাম, তুমি ঠিকই বলেছিলে।” মায়ের কথা অগ্রাহ্য করার জন্য আজও অনুতাপ বয়ে বেড়ান তিনি।

আরও পড়ুনঃ অবশেষে সম্পর্কের বরফ কি গলল? বহু বছরের অভিমান ভেঙে টলিউডে চরম চমক! “আমি চাই একটি পরিণত প্রেমের ছবি করতে, আর যদি দেবশ্রীকে নিয়ে সেই কাজ হয়, তাহলে অবশ্যই রাজি আছি।”- অকপট স্বীকারোক্তি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের!

এখন অবশ্য বড় পর্দায়ও পা রেখেছেন সব্যসাচী চৌধুরী। অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ এবং নিষ্ঠাই তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবু মায়ের সেই পরামর্শকে উপেক্ষা করার কষ্ট যেন আজও কোথাও গোপনে তাকে পীড়া দেয়। জীবন তাকে নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছে, কিন্তু এক অসম্পূর্ণ আফসোস আজও ছায়ার মতো সঙ্গে থেকে যাচ্ছে অভিনেতার জীবনে।