“জাতীয় সংগীতকে এখন ডিজে বানিয়ে ফেলেছে প্রজন্ম!” বাংলায় জাতীয় সংগীতের কোন‌ও মর্যাদাই নেই! বর্তমান সমাজের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিনেতা সাগ্নিক চ্যাটার্জী! আজকের যুবসমাজ কি সত্যিই জানে দেশের মর্যাদা মানে কী?

ভারতের জাতীয় সংগীত ‘জন গণ মন’ শুধু একটি গান নয়, এটি দেশের আত্মার প্রতীক। প্রতিটি নাগরিকের মনে এই সংগীত দেশপ্রেমের আগুন জ্বেলে তোলে। জাতীয় সংগীত বাজলে সম্মানসূচকভাবে দাঁড়ানো, চুপ থাকা এবং শ্রদ্ধা জানানো প্রত্যেক ভারতীয়ের কর্তব্য। স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস-এর মতো বিশেষ দিনে জাতীয় সংগীত বাজলে তা এক অনন্য অনুভূতি সৃষ্টি করে। কিন্তু বর্তমানে অনেক জায়গায় সেই মর্যাদা যেন হারাতে বসেছে।

এক সময় মানুষ জাতীয় সংগীত শুনলেই বুক ফুলিয়ে গর্ব অনুভব করত, শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের চোখে দেখা যেত দেশপ্রেমের ঝলক। কিন্তু সময় বদলেছে, পরিবর্তন এসেছে সমাজের চিন্তাভাবনায়ও। আজকের প্রজন্মের অনেকেই জাতীয় সংগীতের তাৎপর্য বুঝে উঠতে পারেন না। কখন, কোথায় এবং কীভাবে বাজাতে হয়, সেই শিক্ষাটুকু যেন হারিয়ে গেছে। এই অবক্ষয় নিয়েই এবার মুখ খুললেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাগ্নিক চ্যাটার্জী।

সাগ্নিক চ্যাটার্জী বাংলা সিনেমা ও ধারাবাহিক জগতে এক পরিচিত মুখ। তাঁর অভিনয় দক্ষতা ও স্পষ্টভাষিতা তাঁকে আলাদা করেছে অন্যদের থেকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের বাস্তব জীবনের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যা জাতীয় সংগীতের প্রতি বর্তমান প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে।

অভিনেতা জানান, গত ১৫ই আগস্ট সকালে নিজের বাড়ির সামনে থাকা একটি ক্লাবে জাতীয় সংগীত বাজছিল। প্রথমে তিনি শ্রদ্ধাভরে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু দেখেন, গানটি একবার বন্ধ হচ্ছে আবার কিছুক্ষণ পরেই বাজছে, যেন ডিজে পারফর্ম্যান্সের মতো! এই ঘটনায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ছেলেদের সতর্ক করেন। কিন্তু উত্তরে তাঁরা বলেন, “জাতীয় সংগীতই তো বাজাচ্ছি, খারাপ কী করছি?”

আরও পড়ুনঃ ক্যা’ন্সার আক্রান্ত শাশুড়িকে নিয়ে চলল প্রতারণা! মিথ্যে বলে চড়চড়িয়ে বাড়ল বিল! “রুবি হাসপাতালে চিকিৎসার নামে প্রতারণা, ভয় দেখানো হয়েছিল মৃ’ত্যু পর্যন্ত” বি’স্ফোরক অলকানন্দা

এই অভিজ্ঞতা থেকে সাগ্নিক বুঝতে পারেন, আজকের অনেক তরুণের কাছেই জাতীয় সংগীত কেবল এক শব্দমাত্র, যার পেছনের ভাবার্থের কোনো গুরুত্ব নেই। অভিনেতার মতে, জাতীয় সংগীতের অপব্যবহার মানে দেশের সম্মানহানিও বটে। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে এক বড় প্রশ্ন—আমরা কি সত্যিই দেশকে ভালোবাসি, নাকি শুধু বিশেষ দিনে দেশপ্রেম দেখাতে জানি?