“একে অপরের মুখও দেখতাম না, ওরই বেশী দোষ ছিল,” “একসঙ্গে দুটো ছবি করেছিলাম খুব কষ্ট করে”— দেবশ্রী প্রসঙ্গে পুরনো ক্ষত খুললেন শতাব্দী! দেবশ্রীর দিকেই তিক্ততার অভিযোগ শতাব্দীর!

এক সময়ের বাংলা ছবির (Tollywood) হিট নায়িকা তিনি। জুটি বেঁধেছেন প্রসেনজিৎ থেকে শুরু করে চিরঞ্জিত, অভিষেক, অর্জুনের মতো সব পর্দা কাঁপানো নায়কদের সঙ্গে। তবে তাঁর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় জুটি, অভিনেতা তাপস পালের সঙ্গে। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অভিনেত্রী ‘শতাব্দী রায়’ (Satabdi Roy) কে নিয়ে। নব্বইয়ের দশকে যে সকল অভিনেতা জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন, সবার সঙ্গেই তাঁর ছবির সংখ্যা বেশি। তবে মাঝে অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি, এবার বহু বছর পর আবার পর্দায় ফিরেছেন নতুন উদ্যমে।

এদিন এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের তিনি জানালেন, কেন এতদিন অভিনয় থেকে দূরে সরে গেছিলেন। শতাব্দীর কথায়, “একটা সময়ে অভিনয় করতে আর আগের মতন ভালো লাগত না। ‘কৃষ্ণা-কাবেরী’ ছবিটা করার সময়ে, রৌদ্রে দাঁড়িয়ে যেই দৃশ্যের জন্য আগে প্রয়োজনে দশবার টেক দিয়েছি, এবার সেটা একবারেই বিরক্তি এসে গিয়েছিল। ওড়িশার ডিরেক্টর প্রশান্ত দা আমায় বলেন, যে আমার বিরতির দরকার।

সেই বিরতিই যে এতোদিন চলবে সেটা ভাবিনি। আসলে ইচ্ছা থাকলেও সময় হয়ে উঠছিল না।” প্রশ্ন করা হয়, সিনেমার জগতে তো বহুবার দেখা যায় কোনও তৃতীয় ব্যক্তির জন্য সংসার ভেঙে যেতে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের, শতাব্দীরও কি এমন কোনও অভিজ্ঞতা আছে? উত্তরে তিনি হেসে বলেন, “আমি ছোট বেলাতেই ডাইরিতে লিখে রেখেছিলাম, কোনও অভিনেতাকে বিয়ে করবো না। আসলে স্বামী নায়ক হলে স্ত্রীকে খুব শক্ত হতে হয়, উল্টোটাও একই।

কিন্তু আমি খুব পসেসিভ, কখনোই চাইনি যে আমার স্বামীকে কেউ জড়িয়ে ধরুক। সেরকমই আমিও কারোর সংসার ভাঙার কারণ হইনি।” এরপর প্রশ্ন করা হয়, অভিনয়ের জগতে অভিনেত্রীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চিরকালীন, আপনার সঙ্গেও কি কারোর দ্বন্দ্ব হয়েছে? কিছুক্ষণ ভেবে তিনি বলেন, “সেই সময়ে শতাব্দী বলতে নম্বর ওয়ান হিরোইন, আমার ধারে কাছেও কেউ ছিল না যে দ্বন্দ্ব হবে। তবে দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে তখন মোটেই সম্পর্ক ভালো ছিল না।

আরও পড়ুনঃ অরিন্দম শীলের পরিচালনায় এবার পর্দায় কুণাল ঘোষ! একজন বিতর্কিত নেতা, অন্যজন বিতর্কিত পরিচালক! নারীঘটিত বিতর্ক এবং রাজনৈতিক অভিযোগে পরিপূর্ণ দুই পুরুষ, এবার একসঙ্গে পর্দায় রহস্য খুঁজতে চলেছেন!

কোনও দিনই কথা বলিনি, দুটো ছবি করেছিলাম একসঙ্গে তাও খুবই কষ্ট করে। সবাই দেখে বুঝতে পারতো, সেই ছবিতে বুম্বা ছিল বলে সাংবাদিকদের আটকেছিল বাজে কিছু লেখার থেকে। তবে বর্তমানে আমরা খুব ভালো বন্ধু, কথা হয় ফোন। যদিও দেখা হলে বলব, ওরই দোষটা বেশি ছিল। সিনিয়র হতে যদি এগিয়ে এসে কথা বলত, তাহলে অনেকদিন আগেই বন্ধু হতে পারতাম। তবে বাকি আর কারও সঙ্গেই আমার কোনও খারাপ ঘটনা নেই।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।