বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ, ইউটিউবার তথা ইনফ্লুয়েন্সার ‘সায়ক চক্রবর্তী’ (Sayak Chakraborty) সম্প্রতি প্রকাশ্যে জানালেন, তিনি নাকি আর বাংলার বড়পর্দায় কাজ করতে চান না! কারণ? অতীতের কিছু ‘খারাপ অভিজ্ঞতা’। সোজা কথায়, একদম মন ভেঙে গিয়েছে অভিনেতার! কী এমন হল? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর সিনেমার প্রতি আগ্রহ কেমন? সেখানেই ফেটে পড়লেন সায়ক! জানালেন, বাংলা ছবির এক নির্মাতার আচরণে এতটাই আঘাত পেয়েছেন যে সিনেমার দিকেই আর ফিরতে চান না।
সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ তাঁর ‘বেলাশুরু’ ছবিকে ঘিরে। সায়কের দাবি, ছবিতে তাঁর চরিত্রটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। খরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের বয়ফ্রেন্ডের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই চরিত্রের দৃশ্যও শ্যুট হয়েছিল ঠিকঠাক। কিন্তু হলে গিয়ে ছবি দেখার পর তিনি হতবাক! পর্দায় নিজেকে খুঁজেই পেলেন না! যেন ‘জুনিয়র আর্টিস্ট’ হয়ে গিয়েছেন! সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের বিষয়, শ্যুটিং হয়ে যাওয়ার পরও তাঁর কোনও ডাবিং হয়নি, আর তাই পুরোটাই ভেস্তে গেল।
শুধু তাই নয়, পারিশ্রমিক নিয়েও বিস্তর সমস্যা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময় একাংশ টাকা পেলেও, বাকি অংশ সাধারণত ডাবিংয়ের সময় মেটানো হয়। যেহেতু তাঁর ডাবিং হয়নি, সেই অনুযায়ী পুরো টাকাও মেলেনি! অথচ, ছবির প্রচারে নাকি তিনি নিজে থেকে সব করে ফেলেছিলেন। শেষে ফলাফল? কাঁচকলা! মনের দিক থেকে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন, যে প্রতিবাদ করতেও নাকি সাহস পাননি। তবে এখন মনে করছেন, এই চুপ করে যাওয়াটাই ভুল ছিল।
এই কাহিনি সমাজ মাধ্যমে আসার পরই শুরু হয়েছে চূড়ান্ত ট্রোল। অনেকেই সায়কের অভিযোগ শুনে রীতিমতো রেগে গিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “যে নিজের রিল ভিডিও নিয়ে ট্রোল হলে কমেন্ট বক্সে যুদ্ধ লাগিয়ে দেয়, সে সিনেমার পারিশ্রমিক না পেয়ে এতদিন চুপ ছিল?” অন্যজনের কটাক্ষ, “ইনস্টাগ্রাম অ্যাক্টিং আর সিনেমার অভিনয় এক জিনিস না! দর্শকও সেটা বুঝতে পারে, তাই হয়তো সিনটাই বাদ দিয়ে দিয়েছে।” এমনকি কেউ কেউ তাঁকে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেই ঠিক আছে বলেও ব্যঙ্গ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ “সমাজ আমাকে ভয় পায়, আমিও ভয় পাই সমাজকে!” “গান দিয়েছে সম্মান, কেড়ে নিয়েছে অনেক!”— সমালোচনার জবাবে অকপট রূপঙ্কর! সমাজ মাধ্যমের কটাক্ষ বিধ্বস্ত রূপঙ্কর, গান ছাড়ার কথাও ভেবেছিলেন!
অধিকাংশের মতে,”অভিনয় তো ইনস্টাগ্রাম রিলের মতো ছিল! সায়ক ইনফ্লুয়েন্সারই ঠিক আছে। বড়পর্দা কেন, ছোট পর্দাও ওর জন্য নয়।” সব মিলিয়ে, অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর সিনেমা অভিজ্ঞতা নিয়ে এই মুহূর্তে নেটদুনিয়ায় হাসির রোল উঠেছে। কেউ বলছেন, “মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার জন্য নাটক শুরু হয়েছে।” কেউ আবার বলছেন, “অভিনয় না থাকলে সিন কাটা পড়ে, এটা নতুন কিছু নয়!” তবে বিতর্ক যাই হোক, সায়ক যে প্রকাশ্যে এসে নিজের অভিমান উগরে দিয়েছেন, তা একপ্রকার সাহসের পরিচয় বটে!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।