‘রাতের বেলা ভূতের ভয় পেলে ছাদে বাথরুমে নিয়ে যেত মা!’— ফাদার্স ডে স্মৃতিচারণে বাবার বদলে মায়ের সম্পর্কে আবেগঘন বার্তা সায়ক চক্রবর্তীর!

‘ফাদার্স ডে’ এলেই চারপাশে ভালোবাসায় ভরা সব ছবি আর বার্তায় ছেয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। বাবাকে ঘিরে আবেগ, সম্মান, স্মৃতি—সব মিলিয়ে যেন এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। তবে এবারে অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর পোস্ট ছিল একেবারে ব্যতিক্রম। বাবাকে নয়, তিনি শুভেচ্ছা জানালেন ‘মা’-কে! আর এই অনন্য বার্তায় উঠে এল তাঁর ছোটবেলার না বলা এক সত্যি কাহিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সায়ক লেখেন, “ছোটবেলা থেকে বাবার ভালোবাসা, কেয়ার, গাইডেন্স, ইচ্ছেপূরণ, বায়না, পড়াশুনা, কোথাও ই সেভাবে পাইনি বাবা কে।” এই কথাগুলি শুনেই বোঝা যায়, বাবার উপস্থিতি তাঁর জীবনে ছিল, কিন্তু ছিল না সেই অনুভবের পরিপূর্ণতা। তার বদলে তিনি পেয়েছেন মায়ের আগলে রাখা এক পূর্ণ জীবনের সঙ্গ।

পোস্টে সায়ক জানান, “আমার মা-ই মা, আমার মা-ই বাবা।” ছোটবেলায় ক্ষিদে পেলে, পরীক্ষায় খারাপ করলে, ভূতের ভয় পেলে—সব সময় পাশে ছিলেন মা রেখা চক্রবর্তী। বাবার অভাবকে ঢেকে দিয়ে মা-ই হয়ে উঠেছিলেন তাঁর গোটা পৃথিবী। এমনকি কঠিন সময়েও যখন ঘরে কিছু নেই, শেষ সম্বল দিয়ে রান্না করেছেন মা, আর সেই রান্নার মাঝেই গেয়ে উঠেছেন, “আমার সকল দুখের প্রদীপ।” এইসব সোনালি স্মৃতির মধ্য দিয়েই প্রকাশ পেয়েছে সায়কের অগাধ মমতা ও কৃতজ্ঞতা।

অভাবের দিনগুলোতেও নিজের প্রয়োজন ভুলে ছেলেকে মানুষ করেছেন মা। চাল না থাকলে মামার বাড়ি থেকে এনে, টাকা না থাকলে মাসির হাত থেকে লুকিয়ে নিয়ে—সায়ক লেখেন, কিভাবে তাঁর মা একা হাতে সব সামলে তাঁকে বড় করেছেন। এই গল্প শুধুই এক অভিনেতার নয়, এক মায়ের নিঃস্বার্থ লড়াইয়ের কাহিনি।

আরও পড়ুনঃ আইনি সাহায্য নিয়ে স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ নেবে কমলিনী! বৌমার সিদ্ধান্তে অবাক শাশুড়ি! কমলিনীর ছেলেমেয়েরা কী মায়ের পাশে থাকবে? কোনদিকে মোর নেবে চিরসখা ধারাবাহিকের গল্প?

সবশেষে সায়ক লেখেন, “তাও ওই যে বললাম বাবা সব সময় মায়ের সঙ্গেই ছিল। আছে আর থাকবে। শুধু এই জন্যই হ্যাপি ফাদার্স ডে বাবাই (অনুপম চক্রবর্তী), হ্যাপি ফাদার্স ডে মা (রেখা চক্রবর্তী)।” অর্থাৎ বাবা অনুপম চক্রবর্তীর ভূমিকা হয়তো প্রত্যক্ষ নয়, তবে পরোক্ষভাবে ছিল মায়ের পেছনে এক দৃঢ় সহায়তা। এইভাবেই এক অদ্ভুত আবেগ ও শ্রদ্ধায় ভরা বার্তায় ‘ফাদার্স ডে’ উদযাপন করলেন সায়ক—যেখানে মা-ই হয়ে উঠলেন সবচেয়ে বড় আশ্রয়, আর বাবাও জায়গা পেলেন হৃদয়ের গভীরে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।