আইনি সাহায্য নিয়ে স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ নেবে কমলিনী! বৌমার সিদ্ধান্তে অবাক শাশুড়ি! কমলিনীর ছেলেমেয়েরা কী মায়ের পাশে থাকবে? কোনদিকে মোর নেবে চিরসখা ধারাবাহিকের গল্প?

কুড়ি বছর পর বাড়িতে চন্দ্র ফিরে আশায় বাড়িতে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যার ফলে দূরত্ব বাড়ে স্বতন্ত্র-কমলিনীর। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, বর্ষার ঘরে বসে সবাই মিলে গল্প করছে আর এমন সময় কমলিনীর শাশুড়ি তাকে জিজ্ঞেস করছে সে চাদুর জন্য মাংস রান্না করেছে কিনা।

কথায় কথায় কমলিনী তিক্ত সুরেই বলে সে মাংস কেবল চন্দ্রের জন্যই করেনি বাড়ির সকলের জন্যই করেছে। এরপর, বাবিন জিজ্ঞাসা করে বাড়িতে বাবা ফিরে আসার আনন্দে কী কী রান্না হচ্ছে? এই সময় বর্ষা বলে, বাবা ফিরে আসার জন্য আজকে মহা ভোজের আয়োজন হয়েছে বাড়িতে। বর্ষা আরো জানায় শশুর মশাই ফিরে এসেছে বলেই সে তার বাপের বাড়ির লোককেও ঠাম্মির অনুমতি নিয়ে নিমন্ত্রণ জানিয়েছে।

Anashua Majumdar

এই শুনে কমলিনী তাকে বলে বর্ষা যে বাপের বাড়ির লোকদের নিমন্ত্রণ করেছে তাকে কেন জানানো হয়নি। যতই হোক বাড়ি সকলের জন্য রান্না তাকেই করতে হয়। এই জন্যে এমন ধরনের প্রশ্ন কমলিনী করে বর্ষাকে। তবে, আসল কথা এটাই যে কমলিনীর মন মেজাজ একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বিগত কয়েকদিন তা বাড়ির সবাই কমবেশি বুঝতেই পারছে।

অন্যদিকে দেখা যায় ক্যাফেতে বসে কমলিনীর বৌদি অনন্যাদের জানাই কমলিনী একেবারেই বিয়ের জন্য রাজি হচ্ছে না এমনকি সেই সিঁদুর পড়তেও নারাজ। তবে, এখন নতুনদার সঙ্গে কমলিনের বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা ভালো রকম ভাবেই বোঝা যাচ্ছে। এরই সঙ্গে কমলিনীর বৌদি অনন্যা দের বারে বারে বলতে থাকে এটাই উপযুক্ত সময় ডলের সঙ্গে নতুন দার বিয়ে দেওয়ার।

এদিকে আবার দেখা যায়, কমলিনী নানান কথার মাধ্যমে তাঁর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। সে বারে বারে বাড়ির লোকেদের বোঝাতে চাইছে এই মুহূর্তে জীবনের সে আর নতুন করে কোন কিছু করতে চায় না। তা সে বিয়েই হোক কিংবা সিঁদুর পরা। এমন সময় মিটিল তাকে বলে সে যদি কাকুর সাথে সেই সময়ে না’ই ভাল থাকতো তাহলে কেন কোনো তখনই পদক্ষেপ নেয়নি?

এই প্রশ্নের উত্তরে কমলিনী জানায় আসলে তখন তার ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে এতটাই ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল আলাদা করে নিজের দিকে তাকাবার কোন সময় হয়নি। কথায় কথায় কমলিনী বোঝানোর চেষ্টা করে কুড়ি বছর আগে সে যে চাদুর সঙ্গে খুব ভালোভাবে সংসার করতো এমনটাও নয়। এই সব ধরনের কথা শুনে কমলে নি শাশুড়ি নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে চন্দ্রকে নিয়ে কিন্তু সঠিকভাবে কোন উত্তরই তাকে দিয়ে উঠতে পারেনা কমলিনী।

এদিকে দেখা যায় ক্যাফেতে বসে কমলিনীর বৌদি অনন্যাদের বলছে সেই বাড়িতে এসে সমস্ত রকম ভাবে চেষ্টা করছে যাতে চন্দ্র দার সঙ্গে কমলিনের বিয়ে তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। এমনকি কথার নানান ভঙ্গিতে সে বোঝাচ্ছে যাতে এই দুইজনের তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যায়। এমন সময় বাড়িতে দেখা যাচ্ছে কমলিনী জানায় এই বিবাহ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সে তার কাকা মনির সাহায্য নিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ “আমাদের দিদি নাম্বার ওয়ান একজনই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বাংলার নন, ভারতের দিদি নাম্বার ওয়ান!”— রচনার মন্তব্যে ফের উত্তাল নেটপাড়া! শুরু বিতর্ক, নেটিজেনরা বলছেন, ‘চাটুকারিতা’ ‘সস্তা রাজনৈতিক মন্তব্য!’

এসব শুনে কমলিনীর শাশুড়ি নতুন কে বলে তাকে যেন কিছু বোঝায়। নতুন তখন বলে একটা সময় চাঁদু এবং কমলিনী দুজনে সংসার করত সেই সময় স্বামী স্ত্রীর মাঝে তাই সেই ঢোকিনি। তবে, এতদিন পরে তার বন্ধু ফিরে এসেছে সে চায় কমলিনীর সঙ্গে যেন ভালোভাবে সংসার করে।