টলিউডের অভিজ্ঞ অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি যেমন টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ, তেমনই মঞ্চ ও পর্দায় সমান দক্ষতায় ছাপ ফেলেছেন। ছোট থেকে বড়—বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর সাফল্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক ভিন্ন কাহিনি, যা তাঁর জীবনের পথচলাকে আরও অনন্য করে তোলে।
ছোটবেলা থেকেই সহজ ছিল না অভিনেতার পথচলা। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই তাঁকে সামলাতে হয়েছে পড়াশোনা, চাকরি আর অভিনয় জীবনে আসার স্বপ্ন। দিনে স্কুলে পড়াশোনা, রাতে ফ্যাক্টরিতে কাজ—তারপরও হাল ছাড়েননি। পাশাপাশি ছাত্র পড়ানো এবং শিশুদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কাজও সামলাতেন তিনি। এত কিছুর মাঝেই অভিনয়ের প্রতি টান কখনও কমেনি।
এই সময়েই তাঁর জীবনে আসে এক নতুন মোড়। আইপিটিএ-র নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন পথচলা। রবীন্দ্র সদনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আসে, আর সেখানেই ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে।
অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন, সুভাষ চক্রবর্তীর হাত ধরেই ঘটেছিল সেই ঐতিহাসিক ঘটনা। সুভাষবাবু তাঁকে বলেছিলেন, “তুই চলে যা পিএলটিতে।” সেই পরামর্শ মেনেই তিনি পৌঁছে যান খড়দার কল্যাণনগরে, যেখানে নাটকের আয়োজন হয়েছিল। সেদিন উপস্থিত ছিলেন সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুনঃ পূজোর মাঝেই শেষ হয়ে গেল দু’বছরের কথার পথ চলা! সাহেব-সুস্মিতার চোখে জল! ‘এত তাড়াতাড়ি যদি গল্প শেষ করতে হয় তাহলে লিপ নেওয়ার কি দরকার ছিল?’ প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা
অর্থাৎ অভিনেতার কথায় বোঝাই যাচ্ছে সুভাষ চক্রবর্তীর মাধ্যমেই খুলে গিয়েছিল নতুন দিগন্ত। সেই নতুন দিগন্ত শঙ্কর চক্রবর্তীর জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।