সম্প্রতি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে( Rituparna Sengupta) নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা একাধিক কারণে বিশেষভাবে আলোচিত হচ্ছে। ঋতুপর্ণা কিছুদিন আগে প্রতিবাদে থাকার কথা জানালেও বিজয়া উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করতে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যিনি শ্যামবাজারের বুকে প্রতিবাদ আন্দোলনে গিয়েছিলেন, তিনি কীভাবে বিসর্জনের মেলা থেকে দূরে থাকতে পারেন। ফলে আবার সামনে চলে আসে শ্যামবাজারের আন্দোলন এবং ঋতুপর্ণার শঙ্খ বাজানোর বিতর্ক।
ঋতুপর্ণাকে ট্রোল শ্রীলেখার!
এই পরিস্থিতিতে যাঁরা ঋতুপর্ণাকে সমর্থন করেছিলেন, তারাও আজকে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন। কিছু মন্তব্যকারী তো সরাসরি বলেন, “এরা টাকার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত।” অন্যদিকে, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের( Sreelekha Mitra ) কার্যকলাপ এই পরিস্থিতিতে আরো উস্কানি যোগায়। তিনি ঋতুপর্ণার বিরুদ্ধে প্রায়ই একাধিক মন্তব্য করেছেন এবং এবার তিনি নিজের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যাতে তিনি লক্ষ্মীপুজোর দিন শঙ্খ বাজাচ্ছেন।
শ্রীলেখার এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে শ্রীলেখা বলেন, “এভাবে বাজাতে হয়, শঙ্খ।” তাঁর এই কর্মকাণ্ডে নেটিজেনদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলেছেন, “আপনি কিন্তু দুষ্টু!” আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “এটা তো অন্য লেভেলের হয়ে যাচ্ছে!” এভাবে শ্রীলেখা ঋতুপর্ণাকে একটি বিদ্রূপাত্মক প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন, যা সামাজিক মাধ্যমে নতুন বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।
ঋতুপর্ণার শঙ্খ বাজানোর ঘটনায় শ্রীলেখার পালটা আক্রমণ তাকে নতুন করে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। একই সঙ্গে, তিনি ঋতুপর্ণার মতো অনেকের জন্য একটি প্রশ্নের উত্তর রেখেছেন—এমন পরিস্থিতিতে একজন অভিনেত্রী কীভাবে নিজেদের কার্যকলাপ এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারেন। তবে এই বিতর্কের কেন্দ্রে থেকে ঋতুপর্ণা ও শ্রীলেখার সম্পর্কের গতি পরিবর্তন হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামতিকে বাড়ি থেকে বের করার মোক্ষম পরিকল্পনা বৃন্দার, ছক কষে কী পরিকল্পনা করল সে ?
শেষ পর্যন্ত, এই ধরনের ঘটনার মাধ্যমে সমাজের মধ্যে বাণিজ্যিক এবং রাজনৈতিক প্রবণতা নিয়ে আলোচনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে, সোশ্যাল মিডিয়ার এই নান্দনিক যুদ্ধ একাধিক মানুষকে বিচলিত করছে এবং বিতর্কের পাশাপাশি বিনোদনেরও একটি অংশ হয়ে উঠছে।