ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম, তবুও অঙ্কে শূন্য! পড়াশোনায় কেমন ছিলেন অনুরাগের ছোঁয়ার ‘সূর্য’ তথা অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত?

টেলিভিশন দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখ ‘দিব্যজ্যোতি দত্ত’ (Dibyojyoti Dutta), যিনি বর্তমানে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকে সূর্য (Surjo) চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এর আগে ‘জয়ী’(Joyee) , ‘চুন্নি পান্না’ (Chuni Panna) এবং ‘দেশের মাটি’ (Desher Mati) -তে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। তবে ‘সূর্য’ চরিত্রের সাফল্য যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে, তাঁকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়াও তিনি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের “লহো গৌরাঙ্গের নাম রে”তেও অভিনয় করেছেন।

অভিনেতার বাবা পেশাগত ভাবে একজন বেনে মামার বাড়ির দিক থেকেও অভিনেতারা অনেক বড় ব্যবসায়ী এবং বাঁশদ্রোণী অঞ্চলে তাদের রয়েছে সোনার দোকান।ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম হলেও দিব্যজ্যোতির পড়াশোনার প্রতি খুব একটা আগ্রহ ছিল না, বিশেষত অঙ্কের প্রতি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেছেন, ছোটবেলায় অঙ্ক ছিল তাঁর সবচেয়ে দুর্বল বিষয়।

Anurager Chhowa

এমনকি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি অঙ্কে শূন্যও পেয়েছিলেন! মাধ্যমিকের পর কলাবিভাগ বেছে নিলেও পড়াশোনার প্রতি সে আগ্রহ স্থায়ী হয়নি। অভিনেতার পড়াশোনার সফর খুব একটা মসৃণ ছিল না। ভালো লাগার বিষয় ইতিহাস নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার অ্যানড্রুজ কলেজে ভর্তি হলেও পড়াশোনা বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারেননি। অভিনয়ে আগ্রহ এবং কাজের ব্যস্ততা ক্রমেই তাঁর শিক্ষাজীবনকে ছাপিয়ে যায়।

‘জয়ী’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ আসতেই কলেজ ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। তবে তাতে কখনোই আফসোস ছিল না তাঁর। অভিনেতার আফসোস একটাই জায়গায় যে তিনি স্নাতক হতে পারেননি। তাই আবারো নিজের প্রিয় এক বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বর্তমানে দিব্যজ্যোতি পড়াশোনায় মন দিয়েছেন। তিনি জানান, নিজের ফিটনেস নিয়ে বরাবরই সচেতন, তাই এবার পড়াশোনার বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন পুষ্টি বিজ্ঞান।

আরও পড়ুনঃ “এত ঘষাঘষি করে বলেই এই ধারাবাহিক নোংরা লাগে!” ‘কথা’তে মাত্রাতিরিক্ত অন্তরঙ্গ দৃশ্যে ক্ষুব্ধ দর্শক!

ইতিমধ্যেই একটি কোর্সে ভর্তি হয়েছেন এবং ভবিষ্যতে পুষ্টিবিদ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা এবং স্বাস্থ্যসচেতনতার প্রতি দিব্যজ্যোতির এই নতুন উদ্যোগ ভক্তদের কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, শেখার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই, আর নিজের ভালো লাগার বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে সেটি সবসময় আনন্দের হয়ে ওঠে।

You cannot copy content of this page