জানেন কি? ২৯০ বছরের পুরনো মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও পালকি চড়ে বিসর্জনে যান উমা। জমিদার বাড়ির সেই কামান দাগা বিলুপ্ত হলেও, পালকিতে করে মায়ের বিসর্জন প্রথা আজও জারি। ২৯০ বছরের পুরানো মল্লিক বাড়ির পুজোর রীতিনীতি নিয়ে এখনও অনেকের আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ সেই মল্লিক বাড়িতেই নেমে এল বিপত্তি।
১৯২৪ সালে প্রয়াত নরেন্দ্রনাথ বসু মল্লিক (Narendranath Bose Mallick) বাড়ির এই পুজোর প্রচলন করেন। তাঁর প্রথম পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু মল্লিকের (Dwijendranath Bose Mallike) জন্মের পরেই নরেন্দ্রনাথ স্বপ্নদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেন। প্রতি বছর নিয়ম নিষ্ঠা মেনে পারিবারিক দালানে প্রতিমা তৈরি করে সেখানেই দেবীর আরাধনা করেন। বসু মল্লিক পরিবারের এই পুজোয় গোটা এলাকা মেতে ওঠে।
প্রতিবারের মতো এবারেও মল্লিক বাড়িতে পুজোর সভারম্ভ হয়। কিন্তু হঠাৎ শুক্রবার রাতে এক বিপত্তি ঘটে। হঠাৎ ভেঙে পড়ে যায় প্রতিমার একাংশ। দমকলকে ডেকে আনা হয়। হঠাৎ এরকম কান্ড কেন ঘটল? কোন ভুলের জন্য এতো বড় বিপদ ঘটল? এই ঘটনার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন রণজিৎ মল্লিক।
নিরঞ্জনের আগেই গভীর রাতে এই বিপত্তি ঘটে। মণ্ডপের মধ্যেই হোস পাইপ দিয়ে সেই প্রতিমা গলিয়ে দেওয়া হয়। এই পূজা কলকাতা পুর্নিগমের কর্মচারীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ বছরের প্রতিমাটি ২০ ফুটের তৈরী করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, যে ধরণের সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, তা পর্যাপ্ত ছিল না। তাই পেছন থেকে প্রতিমার হাতের একটি অংশ ও শরীরের একাংশ ভেঙে পড়ে।
এ বিষয়ে রণজিৎ মল্লিক (Ranjit Mallick) বলেন, তাঁর জীবনে এমন ঘটনা এই প্রথম। পরিস্থিতি দেখে সকলের মন ভেঙে গিয়েছে। গোটা ঘটনার জন্য ডেকোরেটরকেই দায়ী করেন তিনি। ইতিমধ্যে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর আগে এরূপ ঘটনা ঘটায় চোখে জল এসে গিয়েছে অভিনেতার। এদিকে এভাবে মণ্ডপ ভেঙে পড়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। উল্লেখ্য, এ বছর ৮০ বছর পূরণ হল এই পুজো।