বয়সের ব্যবধান, আগের বৈবাহিক সম্পর্ক— কোনও কিছুই আটকাতে পারেনি তাঁদের প্রেমকে। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষের ঝড়ও কম ওঠেনি।পরিচালক-প্রযোজক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক যতটা প্রেমময়, ততটাই বিতর্কিত। তাঁদের প্রেমকাহিনি অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হলেও, সমাজের একাংশের চোখে এটি ছিল এক চাঞ্চল্যকর অধ্যায়।
এমনকি ‘ঘরভাঙানি’ তকমা ও সমাজের আঙুল তোলা হয় সুদীপার বিরুদ্ধে। ২০০০ সালে প্রথম স্ত্রী দেবযানীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন অগ্নিদেব। সেই সম্পর্ক চূড়ান্ত ভাঙনের মুখে যখন, তখনই তাঁর জীবনে আসেন সুদীপা। টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে’-এর সেটে তাঁদের পরিচয়, যা পেশাদার গণ্ডি পেরিয়ে একসময় গভীর সম্পর্কে রূপ নেয়। তবে তখনও অগ্নিদেব ছিলেন বিবাহিত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমাজের একাংশ সুদীপাকে ‘ঘরভাঙানি’ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।
বিতর্ক তখন আরও তীব্র হয়, যখন ২০০৯ সালে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে চলে আসেন। অনেকেই অভিযোগ তোলেন, সুদীপা শুধুমাত্র নামী পরিচালককে নিজের কেরিয়ার গড়ার জন্য ব্যবহার করেছেন। তাঁদের সম্পর্ককে বলা হয়েছিল সুযোগের প্রেম। ২০১০ সালে সামাজিকভাবে বিয়ে করলেও সেটি আইনি স্বীকৃতি পায়নি— যা নিয়ে নতুন করে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে শেষমেশ তাঁরা আইনি বিয়ে সারেন। এক বছর পর ২০১৮ সালে জন্ম হয় তাঁদের একমাত্র পুত্রসন্তান আদিদেবের। কিন্তু এত কিছুর পরও বিতর্ক তাঁদের পিছু ছাড়েনি। কেউ কেউ বলেছিলেন, এটি ছিল সুদীপার পরিকল্পিত প্রেম— যা শেষমেশ বিয়েতে পরিণত হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘গৃহপ্রবেশে’ মহাধামাকা! বুদ্ধি খাটিয়ে গয়না চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলল শুভ!
যদিও অগ্নিদেবের প্রথম পক্ষের ছেলে আকাশের সঙ্গে সুদীপার সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে ভালো হয়ে ওঠে, তবে অনেকের মতে, তা ছিল পরিস্থিতির চাপে বাধ্যতামূলক মেলবন্ধন। আকাশ যখন ছোট ছিল, তখন থেকেই তিনি সুদীপাকে স্বীকার করতে বাধ্য হন বলে দাবি করেছিলেন কেউ কেউ। সময়ের সঙ্গে সমস্ত বিতর্ক পেছনে ফেলে তাঁরা আজ সুখী দম্পতি। কিন্তু এখনো অনেকের মনেই প্রশ্ন থেকে গেছে যে এটি সত্যিকারের ভালোবাসার, নাকি পরিকল্পিত সম্পর্কের সফল পরিণতি? বিতর্ক এখনও থামেনি।