গতকাল গোটা দিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জুড়ে একটা খবর বেশ শিরোনামে ছিল।বর্তমানে খড়কুটো ধারাবাহিকে চিনি চরিত্রে অভিনেত্রী অভিনয় করছেন সেই প্রিয়াঙ্কা একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে তাকে নাকি তার প্রথম সিরিয়ালের প্রযোজক এবং পরিচালক কুপ্রস্তাব দিতেন। তাই তিনি ভয় দু’বছর ইন্ডাস্ট্রি ছাড়া ছিলেন।
আর এরপরই টলিপাড়ার বিভিন্ন সদস্যরা প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। প্রযোজক সুশান্ত দাস কে চেনেন না এমন কেউ নেই। আলতা ফড়িং, উমা অপরাজিতা অপু, গ্রামের রানী বীণাপাণি সহ একাধিক ধারাবাহিক প্রযোজনা করছেন সুশান্ত দাস। এবং তিনি যথেষ্ট বিখ্যাত তার নিজের কাজের জন্য।স্বাভাবিকভাবে প্রিয়াঙ্কা যখন তার প্রথম সিরিয়াল ছদ্মবেশীর পরিচালক ও প্রযোজক এর বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব আনা অভিযোগ তোলেন তখন সেখানে নাম চলে আসে সুশান্ত দাস এবং পীযূষ ঘোষ এর। কারণ সেই সিরিয়ালের প্রযোজক ছিলেন সুশান্ত দাস এবং পরিচালক ছিলেন পীযূষ ঘোষ।
আজ সকালে সুশান্ত দাস এই খবরটি উল্লেখ করে প্রিয়াঙ্কার উদ্দেশ্যে একটি বড়সড় ফেসবুক বিবৃতি দেন এবং সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে যে তারা এরকম কোন কাজ করেননি এবং তার প্রমাণ তার কাছে রয়েছে।কেবলমাত্র সস্তা খ্যাতি পাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রিয়াঙ্কা এই ঘৃণ্য কাজটি করলেন।কে বা কারা তাকে উস্কে সেই কাজ করার জন্য সেটা তিনি জানতে চান এবং প্রিয়াঙ্কা যাতে সমস্ত প্রমাণ নিয়ে রেডি থাকে এটাও তিনি বলেছেন।তিনি জানান যে প্রিয়াঙ্কা মিত্র কখনোই অভিনয়টা করতে পারেন না বলেই তাকে ওই সিরিয়াল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এরপরে ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন তারকারা সুশান্ত দাস এর সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করতে শুরু করেন।মৈত্রী যিনি উমা সিরিয়ালে অভির মায়ের চরিত্র করছেন তিনি পর্যন্ত বলেন যে এই সব কথায় কান না দিতে সুশান্ত। এরপর মুখ খোলেন রিমঝিম মিত্র।
তিনি কিছুক্ষণ আগে একটি ফেসবুক পোস্ট করে জানান যে তার সঙ্গে সুশান্ত দাস এর বহু পুরনো সম্পর্ক এবং তারা একসঙ্গে অনেক কাজ করেছে। তাই তিনি কোনোমতেই বিশ্বাস করতে পারেন না যে সুশান্তদা সেরকম কোন কান্ড ঘটাতে পারেন। তাই প্রিয়াঙ্কা এটা কেবলমাত্র সস্তা খ্যাতি পাওয়ার জন্যই করেছে।
সব মিলিয়ে গোটা বিষয়টা নিয়ে ফেসবুকে প্রচন্ড হৈচৈ পড়ে গেছে।স্বাভাবিকভাবেই টলিপাড়ার একজন নামী প্রযোজকের বিরুদ্ধে একজন স্বল্প খ্যাত অভিনেত্রী যখন এরকম বড়োসড়ো অভিযোগ করেন তখন সেই নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায় ঠিকই তবে এখানে কে সত্যি বলছে আর কে মিথ্যা বলছেন তা এখনো বোঝা যায়নি।